বিয়ে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে নানান রকম রীতিনীতি রয়েছে। তাই বলে বাধ্যতামূলকভাবে দ্বিতীয় বিবাহ ? আপনার কাছে অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্য ! ভারত ও পাকিস্তান সীমান্ত বর্তি রাজস্থান প্রদেশের অন্তর্গত দেরাসর নামে একটি গ্রামে এমন রীতিরই প্রচলন ঘটে চলেছে কয়েক শতক যাবৎ কারণ ওই গ্রামটির প্রত্যেক পুরুষের জন্য দুই বার করে বিয়ে বাধ্যতামূলক।
কিন্তু এই গ্রামে কেনো দুইবার বিবাহের এই অদ্ভুত রীতি চালু হল? কেনোই বা গ্রামটিতে দীর্ঘদিন ধরে এই অদ্ভুত নিয়মটি চলছে? তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক
ছবি – সংগ্রহিত
রাজস্থান প্রদেশের দেরাসর গ্রামে ৬০০ মানুষের বাস। মুসলিম অধ্যুষিত এই গ্রামটিতে সব মিলিয়ে রয়েছে পরিবার রয়েছে সর্বমোট ৭০টি মত। বহুকাল ধরে চলে আসা এই বাধ্যতামূলক দ্বিতীয় বিবাহ প্রথা গ্রামের সবাই মেনে চলেন। আর এই আধুনিক যুগেও প্রচলিত রীতিটি মেনে চলতে তাদের ব্যতিক্রম হয় না। আমরা সবাই জানি যে,ইসলাম ধর্মে বহুবিবাহ প্রথার চল রয়েছে। কিন্তু দেরাসর গ্রামের ছেলেরা স্বেচ্ছায় দ্বিতীয় বিবাজ করে না। জোরপূর্বক ছেলেদের দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে বাধ্য করে তাদের পরিবার।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, অনেক আগে এই গ্রামের যতজন পুরুষ বিয়ে করতেন, তাদের কারোই প্রথম পক্ষের ঘরে সন্তান হত না। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ের পরেই সেই স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসত। হাস্যকর যুক্তি হলেও বহুকাল ধরেই নাকি প্রতিটা পরিবারের সাথে এমন ঘটনাই ঘটে আসছে। আর মূলত তখন থেকেই গ্রামবাসীরা দুই বিয়েকে রীতি হিসেবে অনুসরণ করেন।
এক পরিবারের দুই জন স্রী সাথে ছেলেরা
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, বর্তমান কালেও নাকি এমন ঘটনা ঘটে চলেছে গ্রামটির বাসিন্দাদের প্রথম পক্ষের ঘরে কোনো সন্তান হয় না। শুধুমাত্র দ্বিতীয় বিবাহ করলেই সেই ঘরে সন্তান জন্ম নেয়। এই সব কারণেই দ্বিতীয়বার বিয়েকে এই গ্রামে শুভ যোগ বলে গ্রামের মানুষ জন মান্য করেন। মজার ব্যাপার হল স্বামীর এই দ্বিতীয় বিয়েতে প্রথম পক্ষের বউ কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় না,বরং প্রথম পক্ষের স্ত্রী টি সব কিছু মেনে নিয়ে সতীনের সাথে বেশ সুখেই সংসার করেন। সতীনের সন্তানদের নিজের সন্তান হিসেবেই আদর যত্ন দিয়ে বড় করে তোলেন প্রথম ঘরের নিঃসন্তান স্ত্রীরা !
Leave a Reply