1. sjranabd1@gmail.com : Rana : S Jewel
  2. solaimanjewel@hotmail.com : kalakkhor : kal akkhor
স্টকহোম সিনড্রোমঃ বিধাতা ও কি মানসিক রোগে আক্রান্ত? - কালাক্ষর
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন

স্টকহোম সিনড্রোমঃ বিধাতা ও কি মানসিক রোগে আক্রান্ত?

  • Update Time : শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
মডেল - তানজিন তিশা। ছবি - কালাক্ষর ডেক্স
মডেল - তানজিন তিশা। ছবি - কালাক্ষর ডেক্স

বাংলায় একটা কথা আছে ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়, এই কথাটার মজিজা হল যদি আপনি কারো ক্ষতি করেন, আপনাকে টাইম মত সেই ক্ষতিগ্রস্থ লোক কিংবা সেই ক্ষতিগ্রস্থ লোকের কেউ আপনাকে সেই ক্ষতির শতভাগ ফেরত দিতে পারে। প্রতিহিংসা বলুন আর প্রতিরোধ বলুন এইটাই বাস্তবতা, কিন্ত যদি এমন হয়, আপনি কারো চরম ক্ষতি করলেন,আর সেই ক্ষতি গ্রস্থ লোকটি সকল প্যাঁড়া সয্য করে আপনাকে কিছুই বললো না, প্রতিশোধ নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকার পরেও আপনাকে ক্ষমা করে দিল । চুড়ান্ত ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে ক্ষমা করে দেওয়ার নজির দেখে হয়ত কেউ কেউ আপনাকে মহামানবের কাতারে ফেলবে। কারন মহামানবদের জীবনী ঘাটলে এই জাতীয় উদাহরণ অনেক পাবেন, কিন্তু আপনি কি জানেন? মহা মানব নয় নরমাল মানুষ রাও এই জাতীয় উদার আর ক্ষমাশিল হতে পারে? চূড়ান্ত ক্ষতি গ্রস্থ হয়েও ভিকটিমের উপর সহানুভুতিশীল হতে পারে?

হ্যা পারে। তারাই পারে যাদের ভিতর স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome) নামক এক প্রকার ডিজিজ কাজ করে। কি মানে বুঝলেন না তো? স্টকহোম সিন্ড্রোম হল এক প্রকারের মানষিক রোগ যা মানুষকে প্রতিহিংসা পরায়ন হতে বাধা দেয়,যা অপরাধীর প্রতি ভিকটিমের সহানুভূতিশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করে, আর এই মানসিক সমস্যার নামই হল স্টকহোম সিনড্রোম। সৃজনশীল বাংলা ব্লগ কালাক্ষর আজ আয়োজন করেছে এই স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome) ইতিবৃত্ব নিয়েই। 

স্টকহোম সিনড্রোমের নাম করনের ইতিহাসঃ

দিনটি ছিল ১৯৭৩ সালের ২৩শে অগাস্ট সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি ব্যাংকের ডাকাতির ঘটনায় এমন এক নাটকীয়তার সূত্রপাত হয়েছিল যা সারা বিশ্বের খবরের কাগজের প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছিল এবং স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome)  নামে মনোবিজ্ঞানের জগতে এক নতুন বিষ্ময়ের জন্ম দিয়েছিল।

১৯৭৩ সালের ২৩শে অগাস্টের সকালে ব্যাংকে ঢুকে অপরাধীরা তাদের বন্দুক চালিয়ে ঘোষণা করেছিল যে “The party has just begun”। ডাকাতরা ওই দিন প্রায় ১৩১ ঘন্টার জন্যে চারজনকে জিম্মি করে রেখেছিল, যার মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন ছিলো মহিলা ছিল ।

স্টকহোম সিনড্রোম নামটা তখন থেকেই চালু হয় যখন এই চারজন অপহৃত ব্যক্তি মুক্তি পাবার পর অদ্ভুত ব্যবহার করা শুরু করে। মুক্তি পাবার পর গণমাধ্যমে দেওয়া তাদের সাক্ষাৎকারে বিষয়টি আস্তে আস্তে পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে, তারা মানসিকভাবে তাদের অপহরণকারীদের সমর্থন করা শুরু করেছে এবং মনে করছে আইনরক্ষাকারী বাহিনী তাদের আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা মনে করতে থাকে,অপহরণ কারীরা নিরাপরাধ, এবং তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

এই ঘটনা আরো তাজ্জব ব্যাপার হয়ে মানুষের সামনে আসে যখন দেখা যায় তারা শুধু অপরাধীদের কোর্টে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করতে অস্বীকার করেই ক্ষ্যান্ত হয় নি তারা অপহরণকারীদের মুক্তির জন্য অর্থ সংগ্রহ করা শুরু করে। এমনকি তাদের মধ্যে একজন মহিলা তো সব কিছুর উর্ধে গিয়ে অপহরণকারীদের একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। স্পষ্টভাবে এই ঘটনাটিতে অপরাধীদের সাথে অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা মানসিকভাবে আবদ্ধ হয়ে যায়।

অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটনা ঘটার পর মনোবিজ্ঞানীগন আক্রান্ত ব্যক্তির সার্বিক মনের অবস্থাকে বোঝাতে একে স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome )  বলে আখ্যায়িত করেন। 

স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome)

মডেল – বহ্নি হাসান – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স

ইতিহাস খ্যাত কিছু স্টকহোম সিনড্রোমের গল্পঃ

প্যাটি হার্স্ট ছিলো একজন কোটিপতি প্রকাশকের উত্তরাধিকারী। সে অপহৃত হয়েছিলো সিমবায়োনিজ লিবারেশন আর্মি (SLA) নামক একটি গ্রামীণ গেরিলা দল দ্বারা। কিন্তু ঘটনার দু’মাস পরেই প্যাটি হার্স্টকে অপহরণকারী দলের সাথে স্বতস্ফূর্তভাবে একটি ডাকাতিতে অংশ নিতে দেখা যায়। এবং এই ডাকাতি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর প্যাটি স্যার্স্ট তার পারিবারিক পরিচয় গোপন করে নিজের নাম (তানিয়া) বলে মিথ্যে পরিচয় দেয়। আদালতে যখন বিচার চলছিল সেই বিচারের এক পর্যায়ে প্যাটি হার্স্ট SLA এর প্রতি তার সহানুভূতির কথা সে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে। এমন কি প্যাটি হার্স্টের বিরুদ্ধে ৭ বছরের কারাদন্ডের আদেশও তাকে তার অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি। পরবর্তীতে মানসিক অসুস্থতার উদ্ধিতি দিয়ে একজন আইনজীবী তার মুক্তির ব্যাবস্থা করেন। আইনজীবীটির নাম ছিল এফ. লি বেইলি ।

২০০২ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে স্টন হর্ণব্যাক নামের আরেকজনকে অপহরণ করা হয়েছিল। দুই বছর পর অপহরণকারীর বাসা থেকে যখন তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন দেখা যায় অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে পালানোর কোনো চেষ্টা করেনি। এমনকি তার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পর্যন্ত ছিলো।

উলফগ্যাং প্রিকলোপিল নামে এক অপহরণ কারী আরেকজন অস্ট্রিয়ান মেয়ে নাতাশা ক্যাম্পুশকে অপহরণ করে। ওই সময় নাতাশার বয়স ছিল দশ বছর। অপহরনের প্রায় আট বছর পর নাতাশা যখন পালায়, তার অপহরণকারী উলফগ্যাং প্রিকলোপিল কয়েক ঘন্টার মধ্যে রেলের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। উলফগ্যাং প্রিকলোপিল মৃত্যুর ঘটনা নাতাশা যখন শোনে সে তখন শোকার্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে সে তার অপহরণকারী উলফগ্যাং প্রিকলোপিল সম্পর্কে লিখেছেন-“আমি উলফগ্যাং প্রিকলোপিল দুঃখজনক মৃত্যুর জন্য অনেক অনেক দুঃখ পাচ্ছি, সে খুব দুখী একজন মানুষ ছিলো।”

আমার লেখা ব্লগ গুলো পড়তে লিংক গুলোতে  ক্লিক করুন 

১৯৩৩ সালেও এরকম আরেকটা ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৩৩ সালের মে মাসের ২৭ তারিখ এক সন্ধ্যায় ২৫ বছর বয়সী মেরী ম্যাকইলোরী যখন তার বাবার বাসায় গোসল করছিলেন তখন হঠাৎ চারজন লোক দ্বারা অপহৃত হন। ওই চারজন অপহরণ কারীদলের মধ্যে ছিলেন দুই ভাই জর্জ এবং ওয়াল্টার ম্যাকজি। অপহরণ কারীরা মেরীদের বাসার তালা ভেঙে তাদের বাসার ভিতরে ঢোকে এবং মেরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের সময় অপহরণ কারীরা মেরীর গোসল করা শেষে জামা কাপড় পরা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহর থেকে দূরের এক নির্জন বাড়িতে। অপহরণ কারীরা মেরীকে শিকল দিয়ে বন্দি করে রাখে। মেরীর বাবা ধনী রাজনীতিবিদ ছিল। তাই অপহরণ কারীরা মেরীর মুক্তিপণ বাবদ ৬০,০০০ হাজার ডলার দাবীকরে এবং মেরীর বাবা ৩০,০০০ হাজার ডলারে দফারফা করে মেরীকে মুক্ত করে। এই ঘটনার পরবর্তীতে অপহরণকারীদের তিনজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

আশ্চর্যের বিষয় এই যে, মেরী তখন অপহরণকারীদের পক্ষ ন্যায়। মেরী তাদের প্রতি সাপোর্ট নিয়ে বলে যে তারা বন্দিদশায় তার খুবই খেয়াল রাখতো । তারা তার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করেনি, বরং সে যখন প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিল তখন অপহরণ কারীদের মধ্যে একজন তাকে ফুলও দিয়েছিল। আদালত যখন সব সাক্ষ্য গ্রহন শেষে অপহরণকারী তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে কঠোর শাস্তি দেয়, তখন মেরী অপরাধবোধে কেঁদে উঠে । মেরী প্রকাশ্যে তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে থাকে এবং আদালতকে অনুরোধ করে তাদের শাস্তি কমিয়ে দিতে।

পুরো বিচার এবং কারাবাসের সময়টা মেরী ম্যাকজি ভাইদের পাশে থাকে, তাদের সাথে নিয়মিত দেখা করে, এমনকি তাদের জন্যে উপহার পর্যন্ত নিয়ে যেতো।বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে তার জীবনের বাকি ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে। জীবনের এই কঠিন অগ্নিপরীক্ষা মেরীকে মাল্টিপল নার্ভাস ব্রেকডাউনের দিকে নিয়ে যায়। ১৯৩৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর মেরীর মানসিক অবস্থা আরো ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। ১৯৪০ সালের ২১শে জানুয়ারি মেরী আত্মহত্যা করে। সুইসাইড করার আগে মেরী তার সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিল – “আমার অপহরণ করা সেই চারজন অপহরণকারী মানুষ গুলোই সম্ভবত পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ যারা কখনো আমায় পুরোদস্তুর বোকা ভাবেনি।”

এবার আসি স্টকহোম সিনড্রোম নিয়ে সাম্প্রতিক কালের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা প্রসঙ্গে। ৫ জুন ২০০২ সালে নিজের বাসার শোবার ঘর থেকে অপহৃত হন ১৪ বছর বয়সী এলিজাবেথ স্মার্ট। অপহরণকারীর নাম ছিল ব্রায়ান ডেভিড মিশেল। ব্রায়ান ডেভিড মিশেল এলিজাবেথকে বন্দী করে রেখেই শান্ত থাকেনি, সে এলিজাবেথকে জোর করে বিয়ে করে ও ধর্ষণ করে। ব্রায়ান ডেভিড মিশেল এলিজাবেথ কে অপহরণের প্রথম নয় মাস গাছের সাথে বেঁধে নির্মম ভাবে নির্যাতন করতো। 

স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome)

মডেল – বহ্নি হাসান – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স

ব্রায়ান ডেভিড মিশেল এর কোন কিছুতে কোনো রকম অবাধ্যতা করলে এলিজাবেথ এর জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তি বয়ে নিয়ে আসতো। এই সব ঘটনা এলিজাবেথের মনে ব্রায়ান ডেভিড মিশেলের উপর চরম রকমের আক্রশ জন্মাবার কথা কিন্তু তা না হয়ে হয় উল্টো। ধীরে ধীরে এলিজাবেথ একজন আদর্শ বন্দীতে পরিণত হয়। অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এলিজাবেথ পরবর্তী নয় বছরে পালানোর কোনো চেষ্টা করেনি। এমনকি একবার রাস্তায় এক পুলিশ অফিসারের সাথে কথা পর্যন্ত হয়। তখন এলিজাবেথ তার আসল পরিচয় দেয়নি। পরবর্তীতে তাকে অপহরণকারীদের থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয় এবং ঘটনার সাত বছর পরে সে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে রাজি হয়। তখন পুলিশ ব্রায়ান ডেভিড মিশেল সহ তার সাঙ্গ পাংগদের ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করে।

এছাড়াও অন্য পরিস্থিতিতে অন্য নির্যাতিত মানুষদের মধ্যেও তাদের প্রতি অন্যায়কারীদের প্রতি একই মনোভাব দেখা যায় । বিশেষত দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসা শিশু নির্যাতন, নারী নির্যাতন, যুদ্ধবন্দি, ধর্মীয় কারণে আটক রাখা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, নিকটাত্মীয় দ্বারা ধর্ষণের স্বীকার নারীদের সেই ধর্ষকের সাথে দির্ঘমেয়াদী সম্পর্কে জরিয়ে পরার মাধ্যমে প্রায়সই স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome) এর লক্ষণগুলো প্রকাশ করে ।

স্টকহোম সিনড্রোম মতবাদের বিপক্ষের জনমত

আইন সবার জন্য সমান। কিন্তু পুজিবাদ পুস্ট আমাদের এই সমাজ ব্যাবস্থায় রাস্ট এবং আইন সব সময় সবার জন্য সমান না হয়ে সমাজের পুঁজিপতি পিছনে দাঁড়িয়েছে চিরকাল। এক জন ভুক্তভুগী দিনের পর দিন সমাজের বৈষম্যের শিকার হতে হতে এক পর্যায়ে বিদ্রহী হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আইন তুলে ন্যায়। এমন নয় তারা জানে না অন্যায়ের জন্য তাদের পুলিশ ধরবে না, কিংবা অন্যায় করে সবার চোখে ধুলো দিতে পারবে, বরং অন্যায় করে তারা পার পাবে না। পুলিশ তাদের ধরবেই। আর কৃত অপরাধের কারনে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে তা জানার পরেও তারা অন্যায়ের পথে চলে যায় অনেক টা বাধ্য হয়েই। রাস্টের কাছে আইনের চোখে সে তখন অপরাধী হয়ে যায়, কেউ দেখেনা কি কারনে কেন সে আইন হাতে তুলে নিয়েছে বা অন্যায়ের পথে এসেছে। কিন্তু ভুক্ত ভুগী যারা এই সকল লোকের সংস্পর্শে আসে, তাদের সাথে মেশে তখন তারা বুঝতে পারে আসল ঘটনা, হয়ত ততক্ষনে তার ক্ষতি হয়ে গেছে, কিন্তু তার পরেও ক্ষতি করা মানুষের প্রতি এক অর্থে কোন অভিযোগ থাকে না, তাই ক্ষমা করে দেয়। এই ঘটনা কে অনেকেই মনোবিজ্ঞ্যানীদের দেওয়া স্টকহোম সিন্ডোম নামে মানুষিক রোগী না ভেবে উদার মানুষিকতা সম্পন্ন মানুষ বলে আখ্যায়িত করেন। 

স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm Syndrome)

মডেল – বাধন – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স

অনেকেই উদাহরন সরূপ নস্বর পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা বিধাতার কথাও উদাহরণ হিসেবে দিয়ে থাকেন। আমাদের ধর্ম গ্রন্থে বিধাতা ক্ষমাশীল বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কেউ তার ক্যাঁচে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দ্যান। যদিও তার হাতে শাস্তি দেবার সব উপকরন আছে। তার পরেও ক্ষমা করার ওয়াদা করার মানে হল তিনি ক্ষমাশীলতায় সর্ব শ্রেস্ট। তার মানে কি তিনি ও মনোবিজ্ঞানীদের দেওয়া স্টক হোম সিন্ড্রোমে ভোগা কেউ? মাস্ট বি নয়। তাই ভুক্তভুগীদের ভিক্টিমদের ক্ষমা করে দেওয়ার মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন লোক জনদের আপনি মনবিজ্ঞানীদের দেওয়া স্টক হোম সিন্ড্রোম নামক তথাকথিত মানষিক রোগে ভোগা রোগীর কাতারে ফেলবেন নাকি উন্নত মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন মানুষের কাতারে ফেলবেন তা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন। লেখাটি ভাল লাগলে কমেন্টস করে জানাবেন। আর মাস্টবি আপনাদের চালানো সোসাল মিডিয়া শেয়ার দিবেন। যা পরবর্তিতে আমাদের আরো ভাল লেখার উৎসাহ যোগাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

2 responses to “স্টকহোম সিনড্রোমঃ বিধাতা ও কি মানসিক রোগে আক্রান্ত?”

  1. hasnain says:

    ভাই এতো পরিমানে মেয়েদের ছবি না দিলে হতনা?

    • S Jewel says:

      সত্য কথা কি ভাই। ছবি না দিলেও চলতো। বাট আপনাদের ভাল লাগবে এই ভেবে দেওয়া।

Leave a Reply

More News Of This Category
©2021 All rights reserved © kalakkhor.com
Customized By BlogTheme
error: Content is protected !!

Discover more from কালাক্ষর

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading