সৃজনশীল বাংলা ব্লগ কালাক্ষর এ আমি সব সময় না হলেও বেশির ভাগ সময় হিউম্যান সাইকোলজি (Human Psychology) এর বিভিন্ন ধাপ নিয়ে আলোচনা করে থাকি। তার প্রধানতম কারন হল হিউম্যান সাইকোলজি আমার নিজের কাছেই খুব প্রিয় একটা বিষয়। তাই নিজের জানা শোনা প্রসঙ্গ নিয়েই আর্টিকেল লেখা ভাল তাতে অন্য কারো কিছু যায় না আসলেও নিজের মাথার চিন্তাশীলতার ধার কিছুটা বাড়ে – এই জন্য লিখি – আর এর ধারাবাহিকতায় আজকের লেখতে বসা –
কিছু দিন আগে একটা সাইকোলজিক্যাল ত্রিলার বেইজড নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখতে বসেছিলাম – মোটামুটি গল্পের একটা গ্রাফ মাথায় সাজিয়ে এর চরিত্র নির্বাচন করতে গিয়ে পড়লাম মহা ধান্দায়। কারন আমার গল্পের শুরু হয় একটা বাড়ির আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে। আর এই আগুনে কয়েক জন মানুষ জ্যান্ত পুড়ে মড়ে। সাথে সাথে ফ্যামিলীটি যাস্ট পথে এসে পড়ে।পুলিশ আসে। নিউজ হয়। কিন্তু কেউ আগুন লাগার কোন মটিভ খুজে পায় না। আগুন টা লেগেছে? কে বা কারা লাগিয়েছে? কেন লাগিয়েছে? এই নিয়ে হাজারটি প্রশ্নের পাহাড় জমলেও এর উত্তর কেউ ই খুজে পায় না। কারন গল্পটি এমন একটা ফ্যামিলী নিয়ে লিখতে বসেছিলাম যাদের কোন শত্রু নেই। তাই কেউ প্রতিহিংসা বসভুত হয়ে তাদের বাড়িতে আগুন লাগাতে আসবে না- আবার ইলেকট্রিক শক সার্কিটে ও আগুন লাগার পসেবিলিটি খুজে পাওয়া যায় না। এই নিয়ে তদন্ত কারী পুলিশ মহাদয় কে বেশ চাপে থাকতে দেখা যায়। সবাই যখন রহস্যের কুল কিনারা খুজতে ব্যাস্ত ঠিক তখন ই আরো একটা বাড়িতে আগুন লাগার খবর আসে। এবার কেউ না পুরে মড়লেও ক্ষ্য় ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি। এর কিছু দিন পর আরো একটা বাড়িতে। প্রতিটি বাড়িতে আগুন লাগাবার ধরন প্রায় একি রকম। এই থেকেই সবার ধারনা হয় এই গর্হিত কাজ যারাই বা যে ই করছে তারা এক ই গ্যাংইয়ের বা এক ই ব্যাক্তি । কিন্তু এই ব্যাক্তিটি কে? কেন ই বা এই ব্যাক্তি আগুন লাগাচ্ছে? তার উদ্দেশ্য ই বা কি? কেন মানুষের বাসায় আগুন লাগানো হচ্ছে? এর পিছনে উদ্দেশ্য ই বা কি? আচ্ছা যে লোক টি আগুন লাগাচ্ছে, সে কোন সাইকোপ্যাথ নয় তো? এর উত্তর খুজতে গিয়েই একটা মানষিক রোগের/ সাইকোলজিক্যাল ডিজওয়াডার (Psychological Disorder) এর কথা সামনে আসে- যার নাম পাইরোম্য়ানিয়া (Pyromania) । সৃজনশীল ব্লগ “কালাক্ষর” এ আমার আজকের লেখার টপিক এই পাইরোম্যানিয়াল ডিস ওয়াডার নিয়েই । আজ আমরা এই পাইরোম্য়ানিয়া (Pyromania) নিয়েই ত্যানা প্যাচাবো-
লেখাটিতে আরো যা জানতে পারবেন
পাইরোম্যানিয়া (Pyromania) একটি গ্রীক শব্দ। যার বাংলা প্রতি শব্দ দাঁড়ায় যার অর্থ আগুনের প্রতি আকর্ষণ। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন এমন রোগ বাবা? এর কথা তো আগে শুনিনি? এর কারন হল অন্যান্য মানসিক রোগের তুলনায় পাইরোম্যানিয়া রোগীর সংখ্যা খুব ই নগণ্য এবং আরও ভয়ের বিষয় হলো এর কোনো ধরাবাধা কারণ বা নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই। তাই যে কেউ যে কোন বয়সে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। একবার ভাবুন তো এই রোগ এর রোগীর সংখ্যা বেশি হলে আমাদের কি হত? চার পাশে কেবল আগুন লাগাবার খবর পেতাম । তাই নয় কি?
তবে একথা অনিশিকার্য যে সব আগুনই পাইরোম্যানিয়ার লক্ষণ নয় মূলত যারা পাইরোম্যানিয়ায় আক্রান্ত, তারা অকারণে আগুন জ্বালাতে পটু। এই পাইরোম্যানিয়া নামক মানসিক রোগের শ্রেণীকরণ প্রসঙ্গে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন মোটামুটি একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে পাইরোম্যানিয়া হল ডায়গনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিসক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার (ডিএসএম) । যা একধরনের ঝোঁক বা তীব্র আকর্ষণের ডিসঅর্ডার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধরনের ডিসঅর্ডারে মানুষের কিছু অদ্ভুত ঝোঁক তৈরি হয়, যা ঠিক তখনই নিবৃত্ত করা তার জন্য জরুরি হয়ে পড়ে। ঐ একই শ্রেণীর অন্তর্গত আরেকটি রোগ হলো ক্লেপটোম্যানিয়া (Cleptomania)।
মডেল – বাধন – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
( ক্লেপ্টোম্যানিয়া বা চুরি রোগ নিয়ে আমার লেখা আর্টিকেল টি পড়ে আসতে পারেন )
যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যের জিনিস চুরি করার প্রতি ঝোঁক অনুভব করেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত চুরি না করেন ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি অনুভব করেন না।
পাইরোমিনিয়া নির্ধারণের জন্য, ডিএসএম -5 মানদণ্ডে উল্লেখ করা হয়েছে যে কাউকে অবশ্যই:
কিছু গবেষণা মনে করেন যে, পাইরোমিনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি আগুন লাগানোর পরে সংবেদনশীল মুক্তি পান। তবে তারা পরবর্তীকালে এই আগুন লাগানোর ক্ষয় ক্ষতি দেখে অপরাধবোধ বা হতাশাও ভুগতে দেখা যায়।
অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে আগুনের সাথে ব্যাক্তির একটি অন্যরকম সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। অনেকটা খাওয়া-ঘুম-প্রাকৃতিক কাজ সারার মতো আগুন জ্বালানো একই রকম ঠেকে পাইরম্যানিয়াক ব্যক্তির কাছে। সে কেবল এক-দুবার আগুন লাগিয়েই ক্ষান্ত হয় না।
হিউম্যান সাইকোলিজি নিয়ে আমার লেখা পুরাতন পোস্ট গুলো পড়ে আসতে পারেন
অন্য আরেকটি বিষয়, যা একে সাধারণ অগ্নিকাণ্ড থেকে আলাদা করে, তা হলো এর পেছনে অগ্নিদাতার কোনো দুরভিসন্ধি থাকে না। সাধারণত অপরাধীরা কারো ক্ষতি করার জন্য, কাউকে শাস্তি দেয়ার জন্য বা নিছকই শত্রুতার বশে আগুন লাগায়। অন্যদিকে পাইরোম্যানিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি এমন নয় যাকে ত্রাস সৃষ্টিকারী বা অপরাধী হবে। হয়তো সে আট-দশজনের মতোই সাধারণ ভদ্র ঘরের নির্ভেজাল মানুষ, কিন্তু মানসিক অস্বাভাবিকতার কারণে তিনি আগুন জ্বালিয়ে তার ভিতরের চাপা উত্তেজনা, অশান্তি দূর করেন। তিনি ভাবেন না, বা তার সেটি ভাবার ক্ষমতাই নেই যে এই ধরনের আচরণে তার আশেপাশের মানুষের ক্ষতি, এমনকি জীবনও যেতে পারে।
আগেই বলা হয়েছে, পাইরোম্যানিয়া একটি বিরল রোগ, সেজন্য লক্ষণের মতোই তার সঠিক কারণ আসলে কী সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত হতে পারেননি। অন্যসব মানসিক সমস্যার মতো পাইরোম্যানিয়ার পেছনেও জেনেটিক এবং প্রাকৃতিক নিয়ামক আছে বলে মনে করা হয়। এর কারণগুলোকে মোটা দাগে তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
বিখ্যাত অস্ট্রীয় মনোবিজ্ঞানী এবং মনোবিশ্লেষণের জনক জনাব ড. সিগমুন্ড ফ্রয়েড পাইরোম্যানিয়ার উৎস সম্পর্কে একটি সুচিন্তিত ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছিলেন ।আর যেহেতু ফ্রয়েডিয়ান তত্ত্বে সকল ধরনের মানসিক অস্বাভাবিকতার পেছনে প্রচ্ছন্ন ভাবে যৌনতাকেই দায়ী করা হয়, ফ্রয়েড তাই পাইরোম্যানিয়াকেও যৌনতা থেকে বাদ দেননি।
ফ্রয়েডের মতে, মানুষের মধ্যে একটি আদিম আগ্রহ রয়েছে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার, যা সে সবরাচর চেপে রাখে বা ফ্রয়েডের ভাষায় যাকে ‘অবদমন’ বলে উল্লেখ করা হয় । আর মানুষের মনে এই অবদমন এর সৃষ্টি হবার ফলে মানুষ আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে মনের ভিতর জমা অবদমন থেকে মুক্তিলাভ করে এবং যার ফলে সে একটি যৌন প্রশান্তিও অনুভব করে।
ফ্রয়েডের আরেকটি কালজয়ী ধারণা ইডিপাস কমপ্লেক্স থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ছেলে শিশুরা যখন তাদের লিঙ্গচ্ছেদ বা খৎনা করার ভয়ে বিচলিত হয়ে পড়ে, তখন তারা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের উপর কর্তৃত্ব দেখানোর জন্য আগুন জ্বালায়। যেহেতু ফ্রয়েড আগুন জ্বালানোর ক্ষমতাকে স্বয়ং প্রকৃতির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের সমান মনে করেন। তবে এটাও ঠিক যে, একে যদি শুধু মাত্র ইডিপাস কমপ্লেক্সের চোখ দিয়ে দেখা যায়, তবে পাইরোম্যানিয়া শুধু মাত্র পুরুষদের রোগ হবার কথা কিন্তু এটি মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যাবার ফলে এই ব্যাখ্যাটি ধোপে টেকে না। কারন পাইরোম্যানিয়া ছেলে-মেয়ে উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়, যদিও পাইরোম্যানিয়া রোগে আক্রান্ত ছেলেদের সংখ্যা বেশি।
পাইরোম্যানিয়ার ব্যক্তিগত কারণ অনেকটাই তার মানসিক অবস্থার সাথে জড়িত। পাইরোম্যানিয়া ৩ বছরের বাচ্চা থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ, যেকোনো মানুষের দেখা দিতে পারে। তবে এটি শিশুকাল থেকে বয়ঃসন্ধিকালের সময়েই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
যদিও শিশুকাল থেকে বয়ঃসন্ধিতে পড়া কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা দেয়, তাদের সবার আগুন লাগানোর পেছনেও কারণ পাইরোম্যানিয়া নয়।
শিশুকাল থেকে বয়ঃসন্ধিতে আগুন জ্বালানোর কারণ হতে পারে-
অন্যদিকে, বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে যৌবন বা বার্ধক্যেও অনেকের আগুনের শখ হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশি যে উক্ত ব্যাক্তি পাইরোম্যানিয়াতেই আক্রান্ত। এছাড়াও অন্যান্য কোনো মানসিক সমস্যার সম্পূরক হিসেবেও প্রাপ্তবয়স্কদের পাইরোম্যানিয়া দেখা দিতে পারে
যেমন, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি), মাদকাসক্তি, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি), অ্যান্টি-সোশ্যাল ডিসঅর্ডার ইত্যাদি রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাইরোম্যানিয়া দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে মনে রাখতে হবে, মানসিক অন্য কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে যদি কেউ আগুন লাগায়, তাহলে তাকে পাইরোম্যানিয়াক বলা যাবে না। পাইরোম্যানিয়াক হওয়ার কিছু কঠিন শর্ত রয়েছে বলেই এটি একটি বিরল এবং অ-নির্ণয়যোগ্য রোগ।
এতক্ষণ যত কারণ বলা হলো তা সবই ব্যক্তির মানসিক সমস্যা বা অস্বাভাবিকতার সাথে জড়িত। কিন্তু পাইরোম্যানিয়া শুধু মানসিক কারণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। কেননা একটি শিশু নানা কারণে, হয়তো খেলার ছলেই না বুঝে এমন আচরণ করে, যা এটি প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয় যে সে পাইরোম্যানিয়ায় আক্রান্ত।
গবেষকরা পাইরোম্যানিয়ার সম্ভাব্য কিছু পরিবেশগত কারণের কথাও বলেছেন-
পাইরোম্যানিয়াকে অনেকেই খুব বড় কোনো সমস্যা মনে করেন না। অনেক সময় এই রোগের উপস্থিতি বোঝাও যায় না। কারণ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের সামনে খুবই স্বাভাবিক আচরণ করতে পারে এবং যখনই তার মাথায় আগুন জ্বালানোর ঝোঁক ওঠে, কেবল তখনই সে এই আচরণ করে। রাগের বশে বা হুট করে পাইরোম্যানিয়াকরা আগুন লাগায় না। বরং তারা বেশ ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনার সাথেই এগোয়।
তারা সবসময় যে বড় বড় বিল্ডিং বেছে নেন, তা-ও নয়। যেকোনো পাইরোম্যানিয়াকের বাসায় আপনি পেতে পারেন- অসংখ্য দেয়াশলাইয়ের বাক্স, পোড়া বিছানার চাদর, সোফার কভার বা যেকোনো অর্ধদগ্ধ কাপড়, লাইটার, মোম ইত্যাদি। অর্থাৎ যেকোনো জিনিস, যাতে আগুন ধরানো যায়।
এর প্রতিকারের জন্য কোনো স্বীকৃত ঔষধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি। ডাক্তাররা মনে করেন, যথাযথ পারিবারিক সাহায্য ও সার্বিক মানসিকতার পরিবর্তনই পারে এই রোগের প্রতিকার করতে।
মডেল – বহ্নি হাসান – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
পাইরোম্যানিয়া কোনো হেলাফেলার বিষয় নয়। এটি ভবিষ্যতে হতে পারে এমন কোনো মারাত্মক মানসিক রোগের সংকেতও দেয়।গবেষণায় পাওয়া গেছে, যারা ভবিষ্যতে সিরিয়াল কিলার বা সাইকোপ্যাথের তকমা পেয়েছেন, তারা অনেকেই ছোট বয়সে তিন ধরনের সমস্যায় ভুগতেন- ১) পশুদের উপর অত্যাচার করা, ২) রাতে ঘুমানোর সময় বিছানা ভিজিয়ে ফেলা ও ৩) অযথা আগুন জ্বালানোর প্রবণতা।
যদিও অনেকে বিছানা ভেজানোর ব্যাপারে একমত নন, কিন্তু পশু-অত্যাচার এবং অযথা আগুন জ্বালানো ও ক্ষয়ক্ষতির প্রবণতা যাদের বেশি, তারাই বড় হয়ে কুখ্যাত সব অপকর্ম করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কুখ্যাত আমেরিকান সিরিয়াল কিলার ডেভিড বারকোউইটজের কথা, যে হত্যা করার আগেই কমপক্ষে ১০০টির মতো অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আগুন ধরানো মানেই পাইরোম্যানিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ না। এমনকি, আমরা সবাই আমাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে আগুনের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছি। মনে করে দেখুন, আপনি মোমের আলোতে কলম ছুয়িয়েছেন কি না, অদরকারী কাগজগুলো পুড়িয়েছেন কি না। তবে সমস্যা তখন হয় যখন মানুষের আগুন জ্বালানো আর আগুন জ্বলতে দেখার প্রবণতা চোখে পড়ার মতো বেড়ে যায়। আপনি যদি একজন পাইরোম্যানিয়েক হন, তাহলে-
উপরের কোনো একটিও যদি আপনার বা আপনার প্রিয়জনের ক্ষেত্রে সত্য হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাইরোম্যানিয়ার একমাত্র নিরাময় হলো সচেতনতা। যদি সঠিক সময়ে এর প্রতিকারের ব্যাবস্থা না হয়, তবে সাধারন মানুষের বিপুল ক্ষতি হবার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন।
It’s a bangle article describe the Pyromania. All the necessary references are hyperlinked within the article.
Leave a Reply