1. sjranabd1@gmail.com : Rana : S Jewel
  2. solaimanjewel@hotmail.com : kalakkhor : kal akkhor
নেগেটিভ এনার্জি দূর করার উপায় - কালাক্ষর
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

নেগেটিভ এনার্জি দূর করার উপায়

  • Update Time : সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০
পিটার প্যান সিন্ডোম
মডেল - অভিনেত্রী - বাধন। ছবি - কালাক্ষর ডেক্স

কালাক্ষর ডেক্সঃ আপনি কি নেগেটিভ এনার্জির ধারক?  আপনার নেতিবাচক মানুষিকতার প্রকাশ ঘটায় যা আপনাকে মহান কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বিরত করে- এটা  আপনার স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নেগেটিভ এনার্জি ধারন করে  তারা পজেটিভ এনার্জির ধারক দের চেয়ে অনেক বেশি তাদের বেশি মানসিক চাপ অসুস্থতা এবং কম সুযোগ অনুভব করেন। কিভাবে নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পেতে হয় তার অনুশীলন করতে গিয়ে প্রথম দিকে  আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

যখন আপনি ইতিবাচক মানুষিকতা ধারন করার সিদ্ধান্ত নিবেন এবং সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কিছুক্ষন পরেই শুরু হবে আসল খেল – এত দিনের অভ্যাস বলেন আর আপনার শরীরের গঠন প্রকৃয়া আপনার মনের সু চিন্তা রোধ করতে পুরো দমে তৎপর হয়ে উঠবে – কি বুঝছেন না? আপনি কি ধুমপান করেন? যদি করে থাকেন তবে জীবন কত বার সংকল্প করেছেন এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করার- কিন্তু পারেন নি- বরং ধুম পান বাদ দেবার কথা ভাবার পরেই বার বার ধুম পান করতে ইচ্ছা করেছে – এর কারন কি বলুন তো? আপনার শরীরের গঠন প্রকৃয়া তে দিনে ৩/৪ টা সিগারেট এর নিকোটিনেই আপনার নিকোটিনের চাহিদা ফিল ফাল হয়ে যাওয়ার কথা – কিন্তু যেই সিগারেট বাদ দেওয়ার কথা ভাবছেন অমনি বার বার কেবল খেতেই ইচ্ছা করছে – এর কারন আপনার শরীরে নিকোটিনের অভাব বোধ না হলেও আসল খেল দেখায় আপনার শরীরের পিটুইটারী গ্লান্ড থেকে নিঃসরিত হরমোন যার নাম মায়াটোনিন  – এই হরমোন সিগারেট এর উপর এক প্রকার মায়া তৈরি করে দিবে- আর তার জন্য কসম কেটে তওবা তালিব করে সিগারেট বাদ দিতে চেয়েও আর বাদ দিতে পারেন নি- কিংবা দুই এক দিন অনেক কস্ট করে থাকার পড়ে আবার শুরু করেছেন –

যাই হোক নেতিবাচক এবং ইতিবাচক শক্তি সবসময় আমাদের ভিতর বিদ্যমান থাকে, কিন্তু আপনার ইতিবাচক হওয়ার চাবিকাঠি হচ্ছে আপনার ভিতর থাকা ইতিবাচক গুন গুলি আরো বেশি প্রসারিত করে আপনার নেতিবাচক গুনাবলির পরিমাণ সীমিত করা।এখানে আমরা জানবো কিভাবে নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আরো ইতিবাচক হতে হয়:-

১। সব সময় সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন –

 আপনার যা আছে তা আপনার – যা নেই তা নিয়ে বৃথা চিন্তা না করে যা আছে তাই নি হ্যাপী থাকার চেস্টা করুন- আপনার মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা – আর আপনার বন্ধুর আয় এক লক্ষ টাকা – এই জন্য নিজেকে হতাশায় ফেলার কোন দরকার নেই- সদা প্রফুল্ল থাকুক- নিজের মন কে সন্তুস্ট করা শিখুন- দেখবেন আপনার মন ভাল থাকবে- কাজে প্রফুল্লতা আসবে- তাতে কোন এক সময় আপনার অবস্থান আপনার বন্ধুর চেয়ে ভাল হবার সম্ভাবনা বেশি আসবে-

কারন যখন আমরা কৃতজ্ঞ থাকি এবং আমাদের জীবনের সবকিছুর প্রশংসা করি- ছোট ছোট সংগ্রাম থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তখন অভুত পুর্ব সাফল্য আসে- কারন যখন আপনি আপনার মনোভাবকে অভাব এবং হতাশা থেকে একটি প্রশংসাময় অবস্থায় স্থানান্তর করবেন তখন আপনার এই প্রশংসা আপনার চার পাশে থাকা লোক জনের নজরে আসেব, আর তখন তাদের সাথে আপনার সম্পর্কের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্প্রীতি গড়ে ঊঠবে। 

মডেল – অভিনেত্রী – তানজিন তিশা। ছবি – কালাক্ষর ডেক্স

2. প্রান খুলে হাসুন-

প্রান খুলে হাসতে পারাটা একটা যোগ্যতা- যা সবার হয় না। হাসি মন কে প্রফুল্লতায় ভরিয়ে দেয়- দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে। তাই যান্ত্রিক জীবনে আপনি যতই ব্যস্ত হয়ে পড়েন,দিনের কাজের শিডিউল পূরণ করতে যতই হিমসিম খান,নিজেকে রোবট বানাবেন না । কারন এই কর্মচালিত, আর রোবোটিক মনোভাব আপনার ভিতর নেতিবাচক শক্তির বিকাশ ঘটাবে – তার চেয়ে ভাল সব কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পরান খুলে হাসা- যা আপনাকে ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে –

ইতিবাচক হওয়া মানে জীবনকে কম গুরুত্বের সাথে নেওয়া এবং নিজেকে সময়ের হাতে সপে দেওয়া। এটাই একমাত্র জীবন যা আপনি বাঁচতে পারছেন,মড়ে গেলে তো সব শেষ-  তাহলে কেন এত যন্ত্রের মত খেটে মড়া? 

হাসি আপনার মেজাজ হালকা করে ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে আপনার জীবনটাকে এতটা গুরুত্বের সাথে না নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। আচ্ছা- আপনি কি হালকা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের প্রতি সংবেদনশীল? কৌতুক নিয়ে হাসতে আপনার কি সমস্যা হয়? সাধারণত, যারা মানসিক চাপে থাকেন এবং সব কিছুতে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেন ,তারা ব্যঙ্গের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হন কারণ তাদের কাছে জীবন মানেই কাজ এবং কাজ ব্যাতিরেকে সুস্থ বিনোদন এদের মাথায় থাকে না-

আপনি কি জানেন? রক্তে উতপাদিত হরমোন কমে গেলে  মানসিক চাপ তৈরির হয় – হাসি মানসিক চাপ প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির বিপরীতে কাজ করে,যা স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

যদি নিজেরা নিজেদের ভুল নিয়ে হাসাহাসি করতে শিখতে পারি, তাহলে জীবন আরো ট্রেস হীন হবে যা আমাদের সুখী করে তুলতে সাহায্য করবে,মানুষ এর সুখ খুঁজে পাওয়ার সাথে তার ইতিবাচক চিন্তা ভাবনার বৃদ্ধি ঘটায় –

3. অন্যদের সাহায্য করুনঃ-

মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি আর স্বার্থপর স্বভাব একে ওপরের হাত ধরে যায়।যারা শুধুমাত্র নিজেদের জন্য বেঁচে থাকে তাদের জীবনে কোন উচ্চতর উদ্দেশ্য নেই।  কিভাবে নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পেতে হয় তা শিখতে আপনাকে অবশ্যই সব সময় সবার্থপরের মত না ভেবে অন্যদের কথা ও ভাবতে হবে। অন্যদের সাহায্য করতে শুরু করতে হবে- আর এতে অন্য মানুষ ও আপনার কাছা কাছি আসবে- তারাও আপনাকে সাহায্য করতে শুরু করবে- আর এই সম্পর্কের সমস্টি আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে-

আপনার জীবনের আসল উদ্দেশ্য জানতে এবং আপনার মনের ভিতর ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি সৃষ্টির সবচেয়ে মৌলিক উপায় হচ্ছে অন্যদের জন্য কিছু করা শুরু করা। খুব বড় না হলেও ছোট করে কিছু শুরু করুন। তার পর আপনার সামনে থাকা ব্যক্তিরকে জিজ্ঞেস করুন আপনার সম্পর্কে কিছু বলতে – দেখবেন তাদের প্রশংসা পাবেন- যা আপনাকে আরো ইতিবাচক হবার প্রেরণা যোগাবে। 

4. নেতিবাচক শক্তি থেকে আপনার চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন-

আপনাদের শুভ আর মন্দ ভাবনা আপনাদের চার পাশের মানুষের কাছে আপনাকে সেরা বন্ধু অথবা সেরা শত্রু হিসাবে নির্বাচন করতে সাহায্য করে- তাই আপনার জন্য সর্বাপেক্ষা ভাল হবে আপনার ভিতরের খারাপ চিন্তা গুলো দূরে সরিয়ে ভাল চিন্তার সমাবেশ ঘটানো- ভাল চিন্তা কেবল নিজে জন্য নয়- আমারা চার পাশের সব মানুষ এর জন্য ও তা যেন হয়। 

  5. ইতিবাচক ব্যক্তিদের সাথে চলুন –

কথায় আছে সৎ সংগে সর্গ বাস আর অসৎ সংগে সর্বনাশ- তাই আপনার ভিতরের নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি পাল্টাতে সব সময় ইতিবাচক বন্ধুদের সংস্পর্সে থাকুক-

 6. নেতিবাচক শক্তিকে ইতিবাচক কর্মে পরিণত করুন

আপনার কর্ম আপনাকে মানুষ এর কাছা কাছি আসতে সাহায্য করে- তাই নিজের ভিতর কু চিন্তা মুলক যে সব খারাপ চিন্তা যুক্ত কাজ আছে – তা বাদ দিয়ে ভাল চিন্তা মুলক কাজ করুন – তাতে আপনার এবন আপনার চার পাশের মানুষ এর জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে –

7. কোন কাজের  পূর্ণ দায়িত্ব নিন –

কোন কাজ একবার ধরলে তা শেষ করুন সময়ের সাথে সাথেই- আর কোন কাজ শেষ করতে পারলে আপনার মনের ভিতর প্রফুল্লতা আনবে – যা আপনাকে আরো কাজ এর অনুপ্রেরনা দিবে –

পরিশেষে আমার নিজের একটা যুক্তি মুলক ব্যাখ্যা দেই –

আপনার চিন্তা-ভাবনার সমষ্টি গুলো এক সময় আপনার মুখের কথা হয়ে উঠবে। আপনার মুখের কথা গুলো এক সময় আপনার কর্মে/কাজে পরিণত হয়ে উঠবে। আপনার কাজ গুলো এক সময় আপনার  অভ্যাস হয়ে উঠবে। আপনার অভ্যাস গুলো এক সময় আপনার চরিত্র হয়ে উঠবে । আর আপনার চরিত্র এক সময় আপনার ভাগ্য হয়ে উঠবে” –

সোলায়মান জুয়েল

ব্লগার/ নাট্য পরিচালক/ প্রযোজক

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
©2021 All rights reserved © kalakkhor.com
Customized By BlogTheme
error: Content is protected !!

Discover more from কালাক্ষর

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading