ধরুন,আপনি পাড়ার পাতি মাস্তান।আপনার সামনে একটা ছেলেকে আপনার আজ্ঞাবহ রা ধরে এনে বেধে রেখেছে । ছেলেটির অপরাধ আপনার বোনের পিছনে ঘুর ঘুর করে – আর এতে আপনার বোনের ও মৃদু সায় আছে। কিন্তু আপনি আপনার বোন কে কিছু না বলে ছেলেটিকে ধরে এনেছেন উত্তম রুপে ধোলাই করেতে । আপনার বোনের দিকে তাকানোর অপরাধে ছেলেটির ঠ্যাং দিলেন ভেঙ্গে – তার পর ? তার পর আর কি?
শুধু তো ঠ্যাং আপনার ইচ্ছে ছিল চোখ দুইটা গেলে দিতে – কিন্তু থানা পুলিশ আর পরিস্থিতির চাপে যাস্ট ঠ্যাং টাই ভেংগেছেন – বান্দির পুতের সাহস কত আমার বোনের দিকে তাকাস? এই বলে যখন মনের ইচ্ছা মত তাকে যখন মারছিলেন – তখন আপনার ভিতর যে আক্রশ ছিল তার ১০% ই বের হইছিল – বাকি ৯০% মিটাবেন এর পরেও যদি ছেলেটি আপনার বোনের দিকে তাকায়- কারন ছেলেটি যা করেছে তা আপনার চোখে জঘন্য পাপাচারের ভিতর পড়ে –
এই ঘটনার দের মাস পর গেলেন আপনার প্রমিকার সাথে দেখা করতে – ব্যাস আপনি ও খেলেন ধরা- কিছু লোক আপনাকে চ্যাং দোলা করে ধরে এনে এক জায়গায় আটকিয়ে রাখলো- দেখা গেল সেই ছেলেটি যাকে মেরেছিলেন ও এসে আপনাকেও পিটালো- কারন আপনি যার সাথে প্রেম করেন – সেই মেয়েটি এই ছেলের বোন হয় – ব্যাস কি আর আপনি ও খেলেন উত্তম মাধ্যম কিন্তু আপনার ভিতরে তখন কোন হিনম্মতা কাজ করে নি – আপনার মনে তখন চৌধুরী সাহেব আমি গরীব হতে পারি – কিন্তু আমি আমার ভালবাসা দিয়ে আপনার মেয়েকে জয় করবো এই অবস্থা- এই খানে আপনার প্রেমিক চরিত্র এত বেশি স্টং যে আপনার কাছে এইটা পাপ নয় – কারন মেয়েটিকে আপনি ভালবাসেন – তার মানে কি দাঁড়ালো ?
আপনার বোনের সাথে প্রেম করলে সেইটা আপনার কাছে খুব গর্হিত কাজ মনে হলেও আপনি যখন অন্যের বোনের সাথে ঠিক একি কাজ করতে যান তখন আপনার কাছে তা পাপ হিসাবে মনেই হয় না- আর আপনার মনের এর সামগ্রিক কর্ম কান্ডকে ই মনো বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড –
মডেল – প্রভা – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কে সোজা বাংলা ভাষায় দ্বৈত আদর্শ বলে । অর্থাৎ আপনি একটি কাজ কেই দুইটি ভিন্ন মাধ্যমে দেখেন । আপনি যখন চোর ধরেন, তখন বুক ফুলিয়ে উপদেশ দেন চুরি করা মহা পাপ । আবার যখন আপনি সুযোগ পান তখন নিজেই চুরি করেন। যখন অন্যের বোন আপনার মহল্লা কিংবা সামনে দিয়ে যায়, তখন নিজেকে প্রেমিক সাজাতে গেয়ে ওঠেন,সুন্দরী চলেছে একা পথে, সঙ্গী হলে দোষ কী তাতে, মনের কল্পনায় সোজা বেড এ নিয়ে যান- আর যখন সেই আপনি নিজের সুন্দরী বোন রাস্তা দিয়ে যান – তখন যদি কেউ আপনার বোনকে সাউন্ড দেয়,তার মুন্ডপাত করে ফেলতে চান । যখন কোন মেয়ে আপনার সাথে বাসে ওঠে, চান্সে তার শরীর কে প্রথমে চোখ দিয়ে ধর্ষন করেন,তার পর মওকা মত তার শরীরের স্পর্সকাতর যায়গায় কুনুই এর গুতা দিতে কার্পন্ন বোধ করেন না,আর এইটা যদি কেউ আপনার বোনের সাথে করে তো?
একটা সমিক্ষার রেজাল্ট এর পোস্ট মর্টেম পড়ে জানা যায় আমাদের সমাজের ৮৯% মানুষ ডাবল স্ট্যান্দার্ড সত্বা ধারন করে – আর এটা সামাজিক অবক্ষয় এর মূল কারন গুলোর অন্যতম,সো,যারা লেখা টি পরলেন তারা নিজেকে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন? আপনি কি ৮৯% এর ভিতরের কেউ? নাকি ১১% এর ভিতরে? যদি ৮৯% এর ভিতরে হন তবে জেনে রাখুন – আপনার ভিতর জেনেটিক সমস্যা আছে – আর আপনি খুব খারাপ মানুষ- যাকে উচ্চ মার্গীয় লুচু বলা যায়- আর আপনাকে দিয়ে যে কোন হীন কাজ করা সম্ভব, আপনি ছেলে কিংবা মেয়ে যে লিংগের ই হন, আপনার ভিতর ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এর লক্ষন থাকলে আজ ই তা পরিহার করুন,নিজে যা করতে পারবেন তা অন্য কেও করতে দিবেন,যে টা নিজের সাথে ঘটলে সয্য করতে পারবেন না – তা নিজে অন্যের সাথে করতে যাবেন না,নিজে পরকিয়া করবেন, আর বউকে পর্দাসীন দেখতে চাইবেন তা কখনো হতে পারে না- ধন্যবাদ – খুব ধর্য্য ধরে লেখাটি পড়ার জন্য
amar vitore aita ase…..