আচ্ছা বুদ্ধিমান কাকে বলে? মুখস্ত বিদ্যার শিক্ষার্থীর মত হয়ত উত্তর দিবেন যাহার বুদ্ধি আছে তাহাকে বুদ্ধিমান বলা হয়- আর যে মানবের বুদ্ধি আছে তাহাকে বুদ্ধিমান মানব বলা হয় – দাড়ান দাড়ান – আচ্ছা তা হলে আপনি কি? আপনার কি বুদ্ধি নাই? আপনি কি পাগল ? আপনি কি ভাল মন্দ বোঝেন না? উত্তর আপনার কাছে যদি হ্যা হবে এটাই কামনিয় – আর যদি না হয় তবে আপনি একজন উজবুক – কেন উজবুক সেই প্রসঙ্গে আসি- তার আগে আরো একটা প্রশ্নের উত্তর চাই- আচ্ছা বলুন তো দুনিয়াতে কয় শ্রেনীর মানুষ বাস করে? আপনার উত্তর যদি শিক্ষিত আর মুর্খ হয়, সাদা আর কালো হয়, আর্য আর অনার্য হয়, ধনী আর গরীব হয় তবে সেইটা যে হুতু আমাদের আজকের টপিক নয় তাই এই প্রসংগ বাদ দেওয়াই বাঞ্চনীয় – আর যদি আপনার উত্তর বুদ্ধিমান আর বোকা হয় তবে বলি – আপনি সঠিক টপিকেই আছেন – তবে সব চেয়ে খুশি হতাম যদি আপনার উত্তর তিন টা আস্তো- মানে বুদ্ধিমান বোকা শ্রেনীর সাথে উজবুক শ্রেনীর কথা ও আপনার মাথায় আসা উচিৎ ছিল- কারন যাদের বুজ্ঝি আছে তারা বুদ্ধিমান, যাদের বুদ্ধি নাই তার বোকা, আর যাদের বুদ্ধি আছে, সব কিছু জানে বঝে তার পরেও বোকা শ্রেনীর মানুষের মত ভুল করে – তারাই উজবুক শ্রেনীর অন্তঃগত। আর আমার ধারনা পৃথিবীতে বুদ্ধিমান আর বোকার পাশা পাশি সব চেয়ে বেশি বোধ হয় যে শ্রেনী আছে তারা হল উজবুক শ্রেনী – যাই হোক –
আমাদের আলোচ্য বিষয় বুদ্ধীমান দের চেনা। যদিও কারো গায়ে ট্যাগ লাগানো থাকে না, তাই খালি চোখে লোকটি বঝাও যায় না লোকটি বুদ্ধিমান নাকি বোকা কিংবা উজবুক – আবার যারা বুদ্ধিমান তারা উজবুক দের মত মানুষের কাছে নিজেকে বুদ্ধিমান বলে উপস্থাপন করতে গিয়ে হাসির পাত্রও হয় না, বুদ্ধিমানদের চেনা যায় তাদের কিছু স্বভাব, আচার, আরচন, কথা বাত্রা, জীবন ও কর্মদেখে – আজকের পোস্ট মর্টেম সেই সব বিষয় নিয়েই –
বুদ্ধিমান মানুষ জন একটু চুপচাপ আর একাকী থাকতে পছন্দ করেন। কোন কিছু সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকলেই কেবল তারা সেই বিষয়ে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন । অহেতুক কথাবার্তা বা তর্ক মুকল কথা বাত্রা থেকে এরা সব সময় নিজদের দূরে রাখেন ।
বুদ্ধিমান মানুষের ভিতর জানার আগ্রহ প্রচুর কাজ করে। খেয়াল করলে দেখতে পারবেন এরা প্রথমে যে কোন কিছু মনোযোগ দিয়ে শুনবে তার পর সে সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। সমিক্ষায় দেখা গেছে এই টাইপের মানুষ জন অনেক বেশি অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন ।
মডেল – জয়া আহসান। ছবি – ফেসবুক
বুদ্ধিমান মানুষের ভিতর অনুমান বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা থাকে। এরা অন্যেদের চেয়ে ভিন্ন চিন্তা করে বলেই তারা সব সময় এই স্বভাবের মানুষজন কে অধিক পছন্দ করে। এরা ফিউচারটাকে যে ভাবে দেখে যে তা ভাবলেও অনেক সময় অতি সাধারন মানুষের হাসি পাবে।
আজব আজব শখ পালন করা বুদ্ধিমান মানুষের অন্যতম একটা বৈশিষ্ট। সেটা খাওয়া দাওয়া নিয়ে হোক কিংবা অন্য যে কোন কাজ। মোট কথা এরা যা ই করে নিজের স্যাটিস্ফাইয়ের জন্য করে- গতানুগতিক চিন্তা ভাবনা থেকে বুদ্ধিমান মানুষেরা নিজেদের আলাদা রাখে।
বুদ্ধিমান মানুষের ভিতর ওপেন মাইন্ডেড এর প্রবণতা বেশি থাকে। যে কোন কিছুকেই এরা খুব ভাল ভাবে গ্রহন করে। ধরুন আপনি কিছু নিয়ে চিন্তা করলেন সেইটা খুব সাধারন বিষয়ের হলেও সেইটা যদি তাদের কাছে বলেন তবে তারা আপনার কথা খুব মনোযোগ সহকারে শুনবে। বুদ্ধিমান মানুষেরা মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করতে কখনোই পছন্দ করে না।
৬-
আত্ননিয়ন্ত্রনের অসাধারন ক্ষমতা বুদ্ধিমান মানুষের ভিতর খুব বেশি থাকে। পার্সোনালীটি বজায় রাখতে চায় বলেই সহজে নিজেদের আবেগ অনুভূতি সব জায়গায় সবার কাছে প্রকাশ করে না। বুদ্ধিমান মানুষেরা কোন কাজ করার আগে সেই কাজের ঝুকি সম্পর্কে চিন্তা করে সবার আগে । ভুল করলে আফসোস করে না – বরং সেই ভুল যাতে আবার করতে না হয় সে জন্য তারা নিজেকে শুধরিয়ে নেয় –
আসা করি আমার এই পোস্ট আপনার কাছে ভাল লাগে নি- কারন আপনি বুদ্ধিমান – আমি উজবুক বলেই প্রত্যাশা করতে ইচ্ছে করে যে- পোস্ট টি আপনার ভাল লাগার কথা- আর এইটাও বলতে ইচ্ছে করে – যদি পোস্টটি ভাল লাগে তবে আপনার মুল্যবান মতামত দিয়ে জাবেন- সাথে শেয়ার করে দিবেন আপনার সোসাল মিডিয়ার সাইট গুলোতে – উজবুক বলেই হয় তো – তাই না? ভাল থাকবেন- ধন্যবাদ –
সোলায়মান জুয়েল
ব্লগার/ নাট্য পরিচালক / প্রযোজক
Leave a Reply