দরবেশ বাবা (সালমান এফ রহমান) কিংবা জহিরুল ইসলাম কিংবা আবুল হোসেনের মত না হলেও মাঝারি গোছের ধনী হয়ে উঠতে কে না চায় বলুন। তাই না এত কর্ম ব্যস্ততা, এত লড়াই-ঝগড়া। কিন্তু তবু যেন ভাগ্যের শিখে ছিড়তেই চায় না। আপনি হয়ত জানেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় একটা বড় অংশ মাথার ঘাম পায়ে ফেললেও সেই অর্থে পারিশ্রমিক সক্ষম পান না। এর কারন কি জানেন? আমাদের জন সংখ্যা- এখানে শ্রমের চেয়ে শ্রমিকের সংখ্যা বেশি-
আর তাই কম টাকাতেই অনেক মানুষ পাওয়া যায়, যে কাজ করতে ১০০০ টাকার প্রয়োজন নরমালি, সেই কাজ এই খানে ১০০ টাকাতেও করা যায়, তাইতো জ্ঞ্যানী জন প্রায়শই বলে থাকেন – শ্রমিকের প্রাপ্রতার সাথে শ্রমের দাম নির্ধারন করে- আর তাই আমাদের দেশে যারা জব করেন,তাদের উন্নতি হবে, কী হবে না, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে নির্দিস্ট কিছু ব্যক্তির মেজাজ মর্জির উপর। কথাটা যে নিতান্তই ভুল না, তা আপনাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হবে না, আমার বিশ্বাস আপনি তা জানেন । আমি অনেক মানুষ কে চিনি যারা সারা বছর খাটার পর বসের ইচ্ছা না হলে এখনও আমাদের দেশে বহু মানুষের ইনক্রিমেন্টই হয় না। এমন অবস্থায় বড় লোক হয়ে ওঠা তো কোনও দূরের স্বপ্ন মনে হয়। তাই না? আমি জানি- এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনার বিন্দু মাত্র টাইম লাগবে না- মাথা ঝুকিয়ে বলে দিবেন – একেবারে ঠিক বলেছেন। কিন্তু আপনি জানেন কি?
আপনার কর্মফলের পাশাপাশি অন্য ভাবেও আপনার ধনী হওয়া সম্ভব । শুনে অবাক হলে হতে পারেন এই পদ্ধতিটি এতটাই সোজা যে,আপনাকে এর জন্য খুব বেশি কষ্ট ও করতে হবে না- আর এটা এমন এক অব্যার্থ পদ্ধিতি,এতে যে কেউ সুফল পেতে পারেন। আরে না না, ভাববেন না আপনাকে আমি কোনও ভুল পরামর্শ দিচ্ছি । প্রাচীন নানান গ্রন্থে এর বিষদ লেখা আছে- লেখা আছে মানুষ এর উন্নতির মূল বাধা হল “নেগেটিভ এনার্জি”। এই “নেগেটিভ এনার্জি” শুধু আপনার সাস্থ্য সমস্যা ই নয় আপনার অর্থ উপার্জনের পথে মূল বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় । তাই একবার যদি নেগেটিভ এনার্জির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তাহলে আপনার জীবন শুধু ভালই হতে থাকবে। সেই সঙ্গে মা লক্ষ্মীও প্রসন্ন হয়ে উঠবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, নেগেটিভ এনার্জির প্রভাব থেকে বাঁচার উপায় কী? এক্ষেত্রে নুন আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। মানে…কীভাবে? শুনতে যতই আজব লাগুক না কেন। এই বিষয়ের উল্লেখ একাধিক প্রাচীন বইয়ে পাওয়া যায়। সেখানে লেখা রয়েছে, বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে যদি নুনকে ব্যবহার করা যায়। তাহলে ধীরে ধীরে নেগেটিভ এনার্জির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক, উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এখন প্রশ্ন হল, এক্ষেত্রে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে নুনকে? আজ আমরা এই সম্পর্কেই পোস্ট-মর্টেম করবো
প্রথমে আপনাকে এক বালতি জলে পরিমাণ মতো সন্দক লবন আর ফিনাইল মিশিয়ে সেই জল দিয়ে ঘর মুছতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ঘরের কোনও কোনা কাঞ্চি যেন বাদ না যায়। এমনটা করলে আপনার দারিদ্রতার ছাপ মুছে যাবে। জীবনে আসবে সমৃদ্ধি। তবে খেয়াল রাখবেন ভুলেও যেন রোবিবার এই কাজটি করবেন না যেন!
প্রথমে আপনাকে এক গ্লাস জলে এক চিমটে নুন মেশাতে হবে। তারপর সেই গ্লাসটা বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রেখে আসুন। আর এমনটা করলে আপনার জীবন থেকে দারিদ্রতা কমতে থাকবে, বাড়বে অর্থের জোগান। প্রসঙ্গত,আপনাকে জানিয়ে রাখি- এই পদ্ধতির সুফল পেতে গেলে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত আপনাকে যেখানে লাল আলো রয়েছে গ্লাসটা তেমন জায়গায় রাখবেন। আর দ্বিতীয়ত, যখনই দেখবেন গ্লাসের পানি একেবারে কমে গেছে, তখন তাতে পুন রায় পরিষ্কার পানি আর লবন ভরে রাখবেন –
প্রথমে আপনাকে একটা ছোট বাটিতে অল্প করে লবন নিয়ে সেটি বাথরুমের কোন এক কোনায় রেখে দিন,তবে খেয়াল রাখবেন লবন গুলো যেন পানিতে না ভিজে যায়- এর পর প্রতিদিন মনে করে ঠিক টাইমে লবন গুলো পালটিয়ে দিবেন । এই পদ্ধতি আপনার ঘরের মধ্যে থাকা নেগেটিভ এনার্জি ধীরে ধীরে কমে যেতে সাহায্য করবে। আর নেগেটিভ এনার্জী কমে গেলে কি হয় জানেন তো? মহাশয় আপনি যদি না জানেন তো বলি – নেগেটিভ এনার্জি কমে গেলে আপনার জীবনে আসবে সমৃদ্ধি এবং খুশিতে ভরে উঠবে আপনার চারিপাশ।
প্রথমে পরিমাণ মতো লবন নিয়ে একটা লাল কাপড়ে বেঁধে নিন। তারপর আপনি সেই কাপড়টা আপনার বাড়ির মূল ফটকে ঝুলিয়ে দিন। এতে নেগেটিভ এনার্জি যেমন আপনার বাড়ির অন্দরে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে না, তেমনি আপনার জিবনে বয়ে আনবে সমৃদ্ধি এবং উন্নতির সম্ভাবনা আরও বাড়বে। এক কথায় বলতে পারেন এই লাল কাপড় এবং লবন চুম্বকের মত কাজ করবে, যা অর্থ, অনন্দ এবং সমৃদ্ধিকে আকর্ষিত করে আপনার বাড়ির মধ্যে নিয়ে আসবে। ফলে আপনার দারিদ্রতার পাঠ চুকবে।
পঞ্চম পদ্ধতি :-
যদি ধনী হতে চান তবে আপনার আজ থেকে আপনার খাবার টেবিলে লবন রাখা শুরু করতে হবে । আপনি যদি খাবার টেবিলে লবন রাখেন তবে আমি হলফ করে বলতে পারি আপনার দরিদ্র অবস্থার পরিবর্তন হতে বাধ্য-
সষ্ট পদ্ধতি:-
আপনার গোসলের সময় এক বালতি পানিতে ১ কাপ বা পরিমাণ মতো অ-প্রাস্তরিত লবন মিশিয়ে সেই পানিতে গোসল করুন। এতে যেমন শরীরের ত্বকের উন্নতি ঘটবে, তেমনি আপনার শরীরে জমে থাকা নেগেটিভ এনার্জি দূর পালাবে। ফলে আপনার শরীর, মন এবং অর্থনৈতিক অবস্থা, সব কিছুরই উন্নতি ঘটাতে বাধ্য –
সোলায়মান জুয়েল
ব্লগার/ নাট্য পরিচালক / পরিচালক
Leave a Reply