1. sjranabd1@gmail.com : Rana : S Jewel
  2. solaimanjewel@hotmail.com : kalakkhor : kal akkhor
আধুনিক সমাজে নারীকুলের পুরুষবিদ্বেষ বা মিস্যান্ড্রি: কী এবং কেন? - কালাক্ষর
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

আধুনিক সমাজে নারীকুলের পুরুষবিদ্বেষ বা মিস্যান্ড্রি: কী এবং কেন?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
পুরুষবিদ্বেষ
মিথিলা। ছবি - ফেসবুক

ফেসবুক বলেন আর বাস্তব লাইফে বলেন আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কিছু মেয়ে/মহিলাকে জানি, যারা সুযোগ পেইলেই পুরুষ কুলের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্দার করে ফেলেন। পুরুষ খারাপ, কর্তিত্ববাদী, রেপিস্ট, চরিত্রহীন, কত কিছু বলে বেড়ান। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ক্যামন? আর আমার জীবন টা ব্যার্থ হয়ে যাবার জন্য যে মেয়েরা দায়ী ( বিশেষ করে এক জন) তা জানার পরেও আমাকেও শুনিয়ে দিতে ছাড়ে না। কেউ কেউ আছেন ডিভোর্সী, কেউ আছেন বিয়ে করে নিজেরা সুন্দর একটা ফ্যামিলী বানাইয়া রাখছেন। জামাইয়ের টাকায় ফুটানী মেরে শুধু ঘুরেই বেড়ান না, চান্স পেলে জামাইকে রীতিমত টরচার করার সুনাম ও তাদের আছে। সেই তিনি ও পুরুষ দের ব্যাপারে রীতিমত কামানের তোপ দাগিয়ে বেড়ান। বিষয়টা গত পরশু আমার সয্য শীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল। কিন্তু নেহায়েত শিল্প মানুষ, মানুষের সাথে বিশেষ করে মেয়ে মানুষের সাথে অযাচিত ঝামেলায় জড়াতে চাইনি বলেই একটা অনুষ্টানে গিয়ে চলে আসতে হয়েছে অনুষ্টান শেষ হবার বহু আগেই।  

পুরুষবিদ্বেষ

পুরুষবিদ্বেষ

পুরুষ বিদ্দেষের বাস্তব কিছু ঘটনা

দৃশ্য পট- এক

সেদিন ঘটনা টি শুরু হয়েছিল আমাদের অতী পরিচিত এক দিদি মনি ( নাম বলে কাউকে হেও করার ইচ্ছে নাই বলে নাম বললাম না, তবে মিডিয়াতে তিনি বেশ সুনামের সাথে কাজ করতেছেন বলে সবাই তাকে চিনবেন) তাঁর বিয়ের ব্যাপারে চরম অনাগ্রহীতার কারণ জানতে চেয়েছিলেন এক আপু (তিনি ও মিডিয়ার)। কিন্তু বিয়ের কথা শোনার পরেই বেলুনের ফুটো দিয়ে বাতাস বেরুলে যেমন চুপসে যায়, তেমনি চুপসে গেলেন। শুধু তাই নয় শুটিং হাউজের যে গ্রীন রুম গুলো নিন্দা পরচর্চা আর আর্টিস্টদের মিডিয়া রাজনীতির আতুর ঘর বলা হয়। সেখানেও মাঝে মাঝে পরিচিতদের বিবাহিত জীবনের যে গাল গল্পগুলো শুরু হয় সেই গল্পের আসরেও সেই মহাদয়া অভিনয় শিল্পী যে মন্তব্য করেন তাতে কোন দিন ও যে বিবাহিত দম্পত্তিকে নিয়ে কথা ওঠে সেই দম্পত্তির হাজবেন্ড এর ব্যাপারে জেনে হউক আর না জেনে আন্দাজে হউক দু চারটি নেতিবাচক মন্তব্য না করলে যেন তাঁর পেটে ভাত ই হজম হয় না। আর সেখানে যদি কেউ তাকে তাঁর বিয়ে আর প্রেম নিয়ে প্রশ্ন করলে সবসময়ই বিরক্তিসূচক যে প্রতিক্রিয়া দেন বলে পরিচিতদের কাছ থেকে শুনেছি। সেই বিরক্তির সবটা জুড়েই থাকে বর নামক পুরুষের প্রতি এক প্রকারের ঘৃনা! অর্থাৎ দম্পতির পুরুষ সদস্যের প্রতিই তার যত বিতৃষ্ণা, বিরূপ মনোভাব। সবকিছুতে পুরুষ জাতটাকে শাপ-শাপান্ত না করলে তার শান্তি হয় না।

দৃশ্য পট- দুই

ওদিকে তৃনাকে নিয়ে তার পরিবারের মানুষজন ভীষণ বিপাকে পড়ে আছে। তৃনার কথাবার্তা, আচরণে সর্বদা ছেলেদের প্রতি কটাক্ষ স্পষ্ট থাকে! একই কাজে কোনো মেয়ে ভুল করলে মায়ার কাছ থেকে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো ছেলে যদি ঐ কাজে সামান্য ভুল করে বসে, তৃনা তাকে কথা শোনাতে ছাড়বেই না! এই আচরণের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছে না তৃনার ঘরের মানুষেরা। কিন্তু তারা বুঝতে চাচ্ছে, মেয়ের সমস্যাটা ঠিক কোথায়। কেন এমন আচরণ তার ছেলেদের প্রতি?

দৃশ্য চিত্র- তিন

লাবন্য সদ্য বিবাহিত। পারিবারিকভাবে সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয়েছে তার। লাবন্যর বর লাবন্যকে বুঝে উঠতে পারছে না। কেন কথায় কথায় নীরা তাকে কটাক্ষ করছে, তার কাজকে নিজের কাজের তুলনায় তুচ্ছজ্ঞান করছে, কোনো প্রশ্নেরই উত্তর মিলছে না! বেচারা বর হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে নতুন বৌয়ের হাবভাব বুঝতে।

আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, নারী কুলের পুরুষজাতির প্রতি এই জাতীয় বিরূপ মনোভাব, ঘৃণা, তীব্র নেতিবাচকতা, এগুলো কি খুব স্বাভাবিক বিষয়? যদি সত্যই তেমন প্রশ্ন জাগে তবে তার উত্তর জানতে আপনার প্রতি আজকের এই লেখাটি পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইল।

কটার্ড সিনড্রোম

মডেল – তানজীন তিশা। ছবি- কালাক্ষর ডেক্স

পুরুষবিদ্বেষ বা মিস্যান্ড্রি

মেয়েদের পুরুষের প্রতি উপরের কল্পচিত্রগুলোর পেছনে কারণ কিন্তু অহেতুক ভালো না লাগা নয়। এর চেয়ে আরো বেশি কিছু। আর তা হতে পারে পুরুষের প্রতি বিদ্বেষ , যা চরম অপছন্দ অথবা ঘৃণার সম পর্যায়ের।

নারী জাতীর এই পুরুষজাতির উপর বিদ্বেষ, ব্যাপারটা আসলে ঠিক কী? তা জানার আগে আপনাদের মনে করিয়ে দেই, বিপরীতে আরেকটা ব্যাপার রয়েছে ‘নারীবিদ্বেষ’ বলে, আর এটা বেশ জানাশোনা একটা ব্যাপার। নারীবিদ্বেষী বা নারীর প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে আলোচনার খাতা যতটা পরিপূর্ণ, উল্টোটা সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বলতে হয়।

পুরুষবিদ্বেষ বা মিস্যান্ড্রি কেন হয়?

পুরুষদের প্রতি নারীদের এই ঘৃনার মনোভাব নিয়ে সাইকোলজি টুডের এক প্রতিবেদনে কিছু কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যার মধ্য থেকে কয়েকটি কারণ আজ তুলে ধরছি। কারণ গুলো ভিনদেশ বা ভিন্ন সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে হলেও এই কারণগুলো বেশ জোরদার, যা নারীদের পুরুষবিদ্বেষের বিষয়টি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে।

বিদ্বেষ ক্রিয়ার ফল প্রতিক্রিয়া

ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় এর ব্যাখ্যা অনুসারে বাস্তবিকভাবে এটা বলা হচ্ছে যে নারীবিদ্বেষ তার বিপরীতে পুরুষের প্রতি বিদ্বেষ জন্ম দেয়। বিষয়টা অনেকটা নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো। আপনি আপনার কাজের সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া অবশ্যই পাবেন। আর তাই আপনার আচরণে যদি নারীবিদ্বেষ থাকে, তবে সেটা আর কারো মনে আপনার প্রতি বিদ্বেষ জন্মাতে যথেষ্ট। হতে পারে আপনার খুব কাছের একজন নারীও ধীরে ধীরে আপনার প্রতি অতিরিক্ত বিরূপ মনোভাব পুষতে আরম্ভ করেছে এবং সেটা তার মনে অন্যান্য পুরুষের জন্যও ঘৃণার সূত্রপাত ঘটাচ্ছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অত্যন্ত বড় একটা কারণ, যেকোনো বাজে অনুভূতির পেছনেই এটা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া সবচেয়ে বড় যে ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া এটি হতে পারে, ক্রমশ নারীকে গৃহবাসী করে ফেলা, নারীকে মনোরঞ্জনের বস্তু হিসেবে দেখা ও উপস্থাপন করা, নারীর মানবসত্তাকে দীর্ঘদিন পাথরচাপা করে রাখা ইত্যাদি তার মনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে, সেগুলো হয়তো একটা সময় তীব্র পুরুষবিদ্বেষে রূপ নেয়।

দ্য ম্যাগপাই ইফেক্ট চাকচিক্যপূর্ণ বিলাসদ্রব্যের প্রতি কেন মানুষ দুর্নিবার আকর্ষিত হয়

সামিরা খান মাহি। ছবি – ফেসবুক

ইতিহাসের পাঠগ্রহণ

আমরা ইতিহাস পড়ি, জানি, একই তথ্য গ্রহণ করি কিন্তু সেটার অন্তর্নিহিত পাঠ? মানুষভেদে সে পাঠ পাল্টায় বটে। কারো কাছে ওসামা বিন লাদেন বীর, কারো কাছে সন্ত্রাসী। হিটলারের বেলায়ও একই কথা খাটে, তাকে অপছন্দ করা বহু মানুষের বিপরীতে পছন্দ করা মানুষও আছে পৃথিবীতে। বিশ্বের যুদ্ধবিগ্রহের যত ইতিহাস, তার বেশিরভাগেই খলচরিত্র পুরুষের। আর এটা খুব বড় একটা কারণ হতে পারে অনেক নারীর মনে পুরুষের প্রতি ঘৃণা জন্মানোর। অথচ, খলনায়কদের ভিড়ে বীরদের সংখ্যাও এখানে অনেক! কিন্তু অনেকেই খারাপটাকে যতটা গভীরভাবে অনুভব করে, মনে রাখে বা নিজের ভেতর ধরে রাখে, ভালোটাকে সেভাবে মনে রাখে না। পুরুষদের প্রতি বিরূপ মনোভাব হবার পেছনে এই আচরণকেও কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে এখানে।

সমসাময়িক অরাজকতা

সমসাময়িক দুর্ঘটনা নির্দিষ্ট সময় নির্দেশ করে দেখানো হয়েছে যে ঘটমান সিংহভাগ হত্যাকাণ্ড, অরাজকতা পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত হয়। এফবিআই এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়ও পুরুষজাতির সরব উপস্থিতি। পুরুষবিদ্বেষের সূত্রপাত ঘটাতে এসব বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু, অনেকটা ক্ষার ও ক্ষারকের চিরচেনা সেই বাক্যের মতো এটাও সত্য যে, সব হত্যাকারী পুরুষ হতে পারে কিন্তু তাতে সব পুরুষ  হত্যাকারী হয়ে যাচ্ছে না!

ব্যক্তিজীবনের তিক্ততা

যেটা নারীবিদ্বেষী হবার পেছনেও বড় একটা কারণ, ব্যক্তিজীবনের দুঃসহ অভিজ্ঞতা, সেটাই পুরুষবিদ্বেষী হবার জন্য বড় কারণ বটে। একজন নারী যদি ব্যক্তিজীবনে পুরুষের দ্বারা বাজেভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে, শারীরিক এবং মানসিকভাবেও, সে পরবর্তীতে পুরুষবিদ্বেষী হতেই পারে। ভালোবাসার মানুষটা, নিকটাত্মীয়, সহকর্মী কিংবা যেকোনো অচেনা পুরুষ, একজন নারী যে কারো দ্বারাই তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে পারে। এবং তারপর তার কাছে সমগ্র পুরুষ জাতিই মন্দ হয়ে যায়! এখানে বিষয়টা এরকম, দোষ একজনই করছে, কিন্তু তার ফলস্বরূপ ঐ জাতির সবাই নারীর কাছে দোষী হয়ে থাকলো।

জন প্রিয় ম্যাগাজিন সাইকোলজি টুডের একটি প্রতিবেদনে একজন নারীবিদ্বেষীর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছিলো, তার আলোকে বিপরীতভাবে পুরুষবিদ্বেষীর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে আরেকটি প্রতিবেদনে

পুরুষকুল কে প্রচন্ড ভাবে অপছন্দ করা একজন নারী প্রাথমিকভাবে হয়ত কোনো পুরুষের প্রতি মোহনীয় আচরণ করতে পারে। এর উদ্দেশ্য থাকে পুরুষটি তার প্রতি আকৃষ্ট হোক এবং তার অধীনস্থ হয়ে পড়ুক। যখন দেখবে পুরুষ টি তাঁর বসে এসে গেছে এরপর ধীরে ধীরে ঐ নারী পুরুষটির উপর নিজের কর্তৃত্ব ফলাতে থাকবে, সে প্রায় সবকিছুতেই তার সঙ্গীকে শাসন করা বা খাস বাংলায় যাকে দৌড়ের উপর রাখার মনোভাব দেখাবে। এই সময় মহিলাটি সঙ্গীকে ইচ্ছে মত অসম্মান করে আজেবাজে ভাষাও ব্যবহার করতেও পিছুপা হবে না।

বেন ফ্রাঙ্কলিন ইফেক্ট

মডেল- মৌসুমি হামিদ ও অর্ষা। ছবি- কালাক্ষর ডেক্স

সম্পর্কের শুরুতে পুরুষকে দেয়া কথা রাখার ব্যাপারে এই সব নারীগন উদাসীন থাকে। সম্পর্কের দায়বদ্ধ নিজের ভিতর না নিয়ে সে পুরুষটিকে উল্টো তাঁর প্রতি দায়বদ্ধ রাখার চেষ্টা করবে। বিষয়টা হাস্যকর বটে! এই সব নারী নিজের পুরুষ সঙ্গীকে দেখা করার জন্য অযথা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করাবে এবং আগে থেকে ঠিক করে রাখা কোন পরিকল্পনা একদম শেষ মুহূর্তে হুট করে বাতিল করে দিয়ে পুরুষকে প্যাড়া দিবে। আর নারীকুলের এইসব আচরণের পেছনে কারণ একটাই, তা হল পুরুষকে অপদস্থ করা।

মজার একটা তথ্য দেই, কোন অপ্রাসঙ্গিক পরিস্থিতিতেও একজন পুরুষবিদ্বেষী নারী নিজেকে কোনো পুরুষের কাছে অরক্ষিত, বিপদগ্রস্ত মনে করে। এটা তাঁর বিবাহিত হাজবেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। আর সেই মনোভাবের কথা সে প্রকাশ করতেও পারে। কর্মক্ষেত্রে একজন পুরুষকর্মীকে সমতার নজরে দেখাটা তার কাছে স্বাভাবিক হবে না। পুরুষকে মাত্রাতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয়াটা বরং অতি সাধারণ তার কাছে। প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে এরকম একজন নারী নিজের অধীনস্ত পুরুষকর্মীদের অধিক শাসনে রাখতে পছন্দ করবে, তাদের জরুরি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় রাখতে চাইবে না।

পুরুষসঙ্গীটির তাঁর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া না দেওয়া বা তাঁর প্রতি পুরুষ সঙ্গীটির দৃষ্টি ভঙ্গী সম্পুর্ণ বিপরিত হবে। অর্থাৎ যদি তাকে একভাবে দেখলে, সে তার বিপরীত ভাবে দেখবে। পুরুষ সঙ্গীটি তাঁর প্রতি অধিক মনোযোগ দিচ্ছে বুঝতে পারলে সে তখন চাইবে মনোযোগ টা কম হোক, আর পুরুষ কম মনোযোগী হলে সেটাকেই ঢাল বানাবে পুরুষের বিপক্ষে। অর্থাৎ সবকিছুতে পুরুষের বিরুদ্ধাচরণ করাই তার উদ্দেশ্য হবে। পুরুষের বিরোধিতা করাটা ধীরে ধীরে এমন নারীর অভ্যাসে পরিণত হবে এবং এই কাজটি সে উপভোগ করবে।

পুরুষবিদ্বেষ


তানজিন তিশা। ছবি – ফেসবুক

শেষের কথা

এক জন পুরুষকে অন্য মেয়েদের সাথে ঘনিষ্টতা দেখানোকে  অকারণে ‘মেয়েলি স্বভাব’ বলে তাচ্ছিল্য করা, পুরুষের আবেগ দেখানোর স্বভাবকে বিচ্ছিরি বলে অভিহিত করা, একজন পুরুষ ঘরোয়া স্বভাবের হলে তাকে হাসিঠাট্টা করা এসবই পুরুষবিদ্বেষের লক্ষণ। আপনারা যারা সারাদিন নারী বিদ্বেষী শব্দটি শুনে অভ্যাস্থ, তাদের বলছি, আমাদের সমাজে নারীবিদ্বেষীর মতোই পুরুষবিদ্বেষীর সংখ্যা কিন্ত একেবারে কম নয়। খুঁজে দেখতে গেলে হয়ত আপনার আশেপাশেই দেখা মিলতে পারে পুরুষবিদ্বেষী স্বভাবের এমন অসংখ্য  নারীর, যাদের এক মাত্র লক্ষ্যেই থাকে কি করে কারন অকারনে পুরুষ কুলকে নিগ্রহ করা যায়। হয়ত এসব নিয়ে কম বেশি যে ভজঘট অবস্থার সৃষ্টি হয় তা  আপনাদের চোখেও এড়ায় না। তবে গান্ধিবাদি হিসেবে আমার একান্ত ব্যাক্তিগত চাওয়া বিদ্বেষ নামক এই শব্দখানা সর্বক্ষেত্রেই খারাপ ফলে বয়ে আনে, হোক তা নারীর প্রতি আর হোক, আর তা পুরুষের প্রতি। তাই আমাদের সবার তা ত্যাগ করা উচিৎ বলেই মনে করি। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
©2021 All rights reserved © kalakkhor.com
Customized By BlogTheme
error: Content is protected !!

Discover more from কালাক্ষর

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading