আপনি বলিউড এর কৃষ এর লাস্ট মুভি টা দেখেছিলেন? যে খানে কাল তার পালিত বাবাকে প্রশ্ন করে কে সে? উত্তর দিতে পারে না বলে একটি চাকু তার পেটের ভিতর ঢুকিয়ে দ্যায়। কোন রুপ হাতের ছোয়া ছাড়াই। যাস্ট তার মন কে ব্যাবহার করে। যে কিংবা মার্ভেল কমিক্স এর কোন সুপার হিরো এর ছবি? এক্স ম্যান সিরিজ কিংবা ম্যান অফ দ্যা স্টিল। সারা দুনিয়ার যত সুপার হিরো টাইপের ছবি দেখবেন তার সেই সব ছবিতে সুপার হিরো গুলোর কমন একটা ব্যাপার থাকে। তা হল তারা কোন জিনিস কে না ছুয়েই যাস্ট নিজের ইচ্ছে বলে সেই জিনিস কে নড়াচড়া করতে পারে। আধুনিক মন বিজ্ঞানের ভাষায় এই জিনিস কে কি বলে যানেন? সাইকোকিনেসিস। সৃজনশীল বাংলা ব্লগ” কালাক্ষর ” এর আজকের আয়োজন মানুষের কল্পনার সাইকোকিনেসিস নামক অতী দানবীয় আর অরাদ্ধ্য শক্তি নিয়ে।
সাইকোকিনেসিস (ইংরেজি: Psychokinesis) বা টেলিকিনসিস বলতে এক ধরনের মানসিক ক্ষমতা যা ব্যবহার করে কোন মানুষ তার শরীরের কোনো অঙ্গের সাহায্য ছাড়াই কোনো বস্তু বা জিনিসের উপরে প্রভাব বিস্তার করতে পারার ক্ষমতাকে বোঝানো হয়। এটি প্যারাসাইকোলজি এর একটি বিষয়। এটিকে টেলিপ্যাথি এর বিষেষ শাখা ও বলা হয়।
Psychokinesis
সাইকোকিনেসিস কে বিজ্ঞান বিলিভ করেনা কারন বিজ্ঞান কল্পনাকে প্রধান্য দ্যায় না। বিজ্ঞ্যান সুস্পষ্টভাবে প্রমান সহ ব্যাখ্যা চায়। আর এই কারনেই সাইকোকিনেসিস কে বিজ্ঞানের কোন শাখায় যুক্ত করা যায় না। কিন্তু তাই বলে মানুষ কিন্তু এই সাইকোকিনেসিস কে খুব বিস্বাস করে। আর এটা কোন অনুন্নত দেশের মুর্খ মানুষ নয়। একটা গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী দেখা যায় যে, খোদ আমেরিকার ৩৫% মানুষ বিস্বাস করে। মানুষের ভিতর অতীপ্রাকৃতিক ক্ষমতার দরুন মানুষ সাইকোকিনেসিস এর ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আর অদুর ভবিষ্যতে এই ক্ষমতা মানুষ অর্জন করবে।
সাইকোকিনেসিস এর বিষদ খুব একটা ভাল ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। এই ক্ষমতা অধিকারী হিসাবে অতীতে অনেকেই নিজেকে দাবী করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ফ্রড হিসাবে ধরা পড়ে জেল ও খেটেছে। তার পরেও মানুষের সাইকোকিনেসিস এর উপর বিস্বাস ভেংগে যায় নি। বরং বার বার মানুষ এর উপর নানা ধর্মী গবেষণা করে এই শক্তি আস্তস্ত করতে চেয়েছে।
একদা আকাশে উড়ান মানুষের কল্পনার বিষয় ছিল আজ হতে একশো বছর আগেও মানুষ জানতো না তারা আকাশ পথে চলাচল করবে অথচ আজ মানুষের কাছে আকাশ পথে পরিভ্রমণ করা ডাল ভাত এর মত। হয়ত কোন এক দিন এই সাইকোকিনেসিস এর ভাষাও মানুষ আস্তস্ত করতে পারবে। সেই দিন হয়ত মানুষ এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করা মানুষদের পাগল বলবে না। যে বিজ্ঞান সাইকোকিনেসিস কে স্বীকার করতে চায় না সেই বিজ্ঞান ও এক দিন নিজ ছায়াতলে সাইকোকিনেসিস বা টেলিকাইনোসিস কে ঠাই দেবে।
Leave a Reply