খাটি বাংলায় এক কথা আছে, সচারাচর একটা ছেলের একটা মেয়ের প্রেমে পড়তে ৩ মিনিট লাগে। অন্য দিকে, একটা মেয়ে ৩৩ টা ডেটিং করেও বুঝতে পারেনা যে সে ছেলেটার প্রেমে পড়েছে কিনা। ছেলেটি তার কাংক্ষিত মানুষ কি না?
কতোটা সত্য সেটা এখনো রহস্য! কেননা মেয়েদের মন বোঝা অনেক কঠিন। আসলে মেয়েদের মধ্যে জেনারেল সাইকোলজির বাইরে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী সাইকোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যেগুলো অন্য কোন শাখার মধ্যে পড়েনা, আবার অ্যাবনরমাল সাইকোলজিও নয়। তাই নারীসুলভ কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে গড়ে উঠেছে ফেমিনিন সাইকোলজি। মেয়েদের যে সাইকোলজি আমরা বুঝিনা তা আলোচনা করে
ফেমিনিন সাইকোলজি
এই ফেমিনিন সাইকোলজি।
মেয়েদের সম্পর্কে অজানা কিছু ফ্যাক্ট বলি,
লজিক আর ইমোশনের ক্ষেত্রে মেয়েরা সবসময় ইমোশনকে বেছে নেয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে সেটা ব্যাতিক্রম। যেমন আপনার স্ত্রী অসুস্থ হলে আপনি ভাববেন ডাক্তার দেখালে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সে ভাববে না আপনি তার পাশে থাকলেই সে ভালো হয়ে যাবে। আর এই পজিটিভিটিটা অনেক সময় প্লাসিভো ইফেক্টের মতো কাজ করে।
মাল্টিটাস্কে মেয়েরা সবসময় এগিয়ে। ছেলেরা এটা পারেনা। একটা মেয়ে একসাথে দশটা কাজ করতে পারে। কিন্তু একটা ছেলেকে দুটোর বেশি দিলে মাথা ঘুরবে। ওয়াশিং মেশিনের কাপড়, কুকারে রান্না, ট্যাংকে জল ভরানো, রুটি সেঁকা, শার্ট আয়রন করা সব একসাথে করতে পারে।
এক গবেষণা বলে মেয়েদের দৃষ্টিশক্তি পুরুষের চেয়ে বেশি। মেয়েরা এমন এমন সুক্ষ্ম জিনিস দেখে যা ছেলেদের দৃষ্টিগোচর হয়না। সবচেয়ে দূরবর্তী দেখার গিনেস বুক রেকর্ডটাও একজন মেয়ের। ভরুনিকা সেইডর নামের মহিলা চোখের শক্তি এত যে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা কোন মানুষের চেহারা অনায়াসে দেখতে পারে। তাই মেয়েদের নজর থেকে বাঁচা কঠিন!
মেয়েদের কালার পারসেপশন ছেলেদের তুলনায় দ্বিগুণ । তারা একই রকমের একশোটা রঙ থেকেও পছন্দের রঙটি ঠিকই বের করে আনতে পারে। এজন্য মেয়েদের কাছে পৃথিবীটা একটু বেশিই রঙিন।
একজন মানব শিশুর ৮০ ভাগ বুদ্ধিমত্তা কিন্তু তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। মানে আপনার এত বুদ্ধি, আইকিউ অনেকটা কিন্তু আপনার মায়ের।
গবেষনা বলে, একটা মেয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ ঘন্টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত একটা সিক্রেট কথা গোপন করে রাখতে পারে।
জন্মের প্রথম ধাপে যখন আমরা মায়ের পেটে ছিলাম তখন শুরুতে ৫, ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত Y ক্রমোসোম একটিভ থাকেনা। তখন আমাদের সবার X ক্রমোসাম অর্থাৎ মেয়ে হয়ে জন্মের পক্রিয়া শুরু হয় এরপর যার X ক্রমোসোম গঠিত হয় সে মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়। আর যার Y ক্রমোসোম গঠিত হয় সে ছেলে হয়ে জন্ম নেয়।
তাই, প্রতিটি মানুষের শুরুটা কিন্তু মেয়ের ক্রোমোজোম হয়ে আসে।
খাবার স্বাদ গ্রহনের ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনা হয়না!
মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে স্বাদ গ্রহনের দিক দিয়ে এগিয়ে। মেয়েদের জিহ্বায় স্বাদগ্রন্থি খুবই স্ট্রং।
মেয়েদের মধ্যে রিভার্স সাইকোলজি খুব ভালোভাবে কাজ করে। মানে তাকে আপনি কিছু করতে কিংবা বলতে নিষেধ করলে সেটা সে আরো বেশি করে করবে।
সংসারের সুক্ষ্ম বিষয়গুলোও নারীরা বেশ ভালো বোঝে। তাইতো কথায় বলে সংসার সুখী হয় রমনীর গুণে।
Leave a Reply