1. sjranabd1@gmail.com : Rana : S Jewel
  2. solaimanjewel@hotmail.com : kalakkhor : kal akkhor
থ্যানাটোফেবিয়া (Thanatophobia) কি? আপনি কি সর্বদা মৃত্যু ভয়ে ভিত থাকেন ? - কালাক্ষর
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

থ্যানাটোফেবিয়া (Thanatophobia) কি? আপনি কি সর্বদা মৃত্যু ভয়ে ভিত থাকেন ?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১
বেন ফ্রাঙ্কলিন ইফেক্ট
মডেল - অর্ষা। ছবি- কালাক্ষর ডেক্স

বয়স তো আর কম হল না? কবে মড়ি আর কবে বাচি তার কি ঠিক আছে? আমার বংসের সবাই তারা তাড়ি মড়ে আমি আর কত দিন ই বাচবো? ভুল ভ্রান্তি যদি কিছু করে থাকি মাফ করে দিস, আমার মনে হয় বেশি দিন বাঁচবো না, ৪০ পেরুনো বঙ্গ সন্তানরা এই কথা কথা গুলো যেন তোতা পাখির মত আওড়ায়। আমি জীবনে যত গুলারে এই জাতীয় কথা ২০ বছর আগে বলতে শুনেছি তারা আজো বহাল তবিয়তে বেচে আছে- জন্ম যেখানে মৃত্যু সেখানে হবেই। তাই বলে মরার কথা বলে বলে হায় হুতাসের কি আছে? হয়তবা বলবেন একজন মানুষ তার জাবীত জীবনের কথা মনে করে মৃত্যুকে ভয় পাবে এটাই স্বাভাবিক। আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করি- মড়ার কথা মনে হলেই তো বেচে থাকার আনন্দ পাওয়া যায়। তাই মড়ার কথা আমার ও মনে হয়- আর তাতে আমি বেচে আছি এই জন্য নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমার ধারনা আপনাদের ও তাই মনে হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন ? কিছু কিছু মানুষ মড়ার ভয়ে রিতি মত কুকড়ে থাকে। তাদের দেখলে মনে হয় আজরাইল মহাদয় সমস্ত কাজ কর্ম ফেলে তার জান কবজ করতে তার পিছনে পিছনে ঘুতেছেন। আর এই লোক সেই ভয়ে – থাক আর বললাম না, চোখ কান খোলা রাখলে আমাদের চার পাশেই অসংখ্য মানুষ দেখবেন এই টাইপের। তাই এদের নিয়ে বিষদ না বল্লেও বুঝতে পারবেন – কিন্তু আপনি কি জানেন কোন মানুষের মনে যদি ৬ মাসের অধিক মৃত্যু ভয় ভর করে তাদের মেন্টাল ডিজওয়ার্ডার হিসাবে ধরা হয়- আর এই ডিজওয়ার্ডারের নাম কি জানেন? থ্যানাটোফেবিয়া (Thanatophobia) ।

সাইকোলজি নিয়ে আমার লেখা পুরাতন পোস্ট গুলো পড়ে আসতে পারেন

থানাটোফোবিয়া (Thanatophobia) হ’ল উদ্বেগের একটি রূপ যা কোন মানুষের নিজের মৃত্যুর ভয় বা মারা যাওয়ার প্রক্রিয়া কে চিহ্নিত করে। এটিকে সাধারণত মৃত্যুর উদ্বেগ বা দুচ্চিন্তা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। মৃত্যুর উদ্বেগ একটি স্বতন্ত্র ব্যাধি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় না, তবে এটি অন্যান্য হতাশা বা উদ্বেগজনিত অসুস্থতার সাথে যুক্ত হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

• ট্রমাটিক পরবর্তী স্ট্রেস ডিসঅর্ডার বা পিটিএসডি (TPSD)
• প্যানিক ডিজঅর্ডার এবং আতঙ্কের আক্রমণ (Panic Disorder)
• অসুস্থতা উদ্বেগজনিত ব্যাধি, যা আগে হাইপোকন্ড্রিয়াসিস নামে পরিচিত

থানাটোফোবিয়া (Thanatophobia) নেক্রোফোবিয়ার থেকে পৃথক, যা মৃত বা মরা জিনিস বা মৃত্যুর সাথে জড়িত জিনিসগুলির সাধারণ ভয়। এই নিবন্ধে, আমরা এই ভয়ের লক্ষণগুলি, কারণগুলি এবং চিকিত্সাগুলি অন্বেষণ করতে থানাটোফোবিয়া বা মৃত্যুর উদ্বেগকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখি।

অ্যাসপারাগর সিন্ড্রোম (Asperger syndrome)

মডেল – বহ্নি হাসান – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স

থানাটোফোবিয়া (Thanatophobia) কী?

গ্রীক ভাষায়, শব্দটি ‘থানাটোস‘ যা মৃত্যুকে বোঝায় এবং‘ফোবস‘ যার মানে ভয়। সুতরাং, থানাটোফোবিয়া এর বাংলা প্রতিশব্দ দাঁড়ায় মৃত্যুর ভয়মৃত্যু সম্পর্কে কিছুটা উদ্বেগ থাকা মানুষের অবস্থার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অংশ। কিন্তু কিছু মানুষ নিজের মৃত্যু বা মারা যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে করতে নিজের মনের ভিতর তীব্র উদ্বেগ এবং ভয় তৈরি করে। এরা সেই উদ্বেগ এবং ভয় থেকে ভাবতে শুরু করে যে তার মৃত্যু অনিবার্য। এইবার আর বোধ হয় রক্ষা নাই।

থ্যানাটোফেবিয়ার লক্ষণ

কোন মানুষের ভিতর যদি নিন্ম লিখিত লক্ষন গুলি দেখতে পারেন তবে তাকে সান্তনা দেবার পাশাপাশি দয়া করে কোন মনরোগ বিশেষজ্ঞ এর কাছে নিয়ে যাবেন :

• একজন মানুষ মারা যাওয়ার কথা চিন্তা করে প্রায় প্রতিটি সময়ই হায় হুতাশ করে থাকেন
• 6 মাসেরও বেশি সময় ধরে থাকে
• লোক টি সর্বদা তার মড়ার পর তার দাফন কাফন কি ভাবে হয়ে? এই নিয়ে চিন্তা করে
• আতঙ্কযুক্ত আক্রমণগুলি মাথা ঘোরা, গরম ফ্লাশ, ঘাম এবং উত্থিত বা অনিয়মিত হার্টের হারের কারণ হতে পারে
• মৃত্যু বা মরণ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন এমন পরিস্থিতিতে এড়ানো
• অসুস্থ বোধ করা বা পেটে ব্যথা হওয়া যখন মৃত্যু বা মারা যাওয়ার কথা ভাবা
• হতাশা বা উদ্বেগ সাধারণ অনুভূতি

থ্যানাটোফেবিয়াতে আক্রান্ত লোক জন এতটা ভয়ে থাকে যে নিজেকে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করা শুরু করে এবং এক সময় তা বাড়াতে বাড়তে এক সময় নিজেকে বন্ধু বান্ধব এবং পরিবারের লোক জনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে এমন টা অনুভব করে।

romana swarna

মডেল – রোমানা সর্ণা । ছবি – কালাক্ষর ডেক্স

ম্রত্যু ভয়ের লক্ষণগুলি কোন মানুষের ভিতর তখন আরো বেশি আকারে দেখা যায় যখন নিজে হালকা মৃত্যুর উদ্বেগযুক্ত অসুখে ভোগে, কিংবা কেউ যখন নিজের বা প্রিয়জনের মৃত্যুর কথা খুব বেশি চিন্তা করেন। আর যদি সেই লোকের ভিতর নিজের অসুস্থতার পাশাপাশি অন্য কোন হতাশাজনক অবস্থা ফেজ করে তবে সেই মানুষের ভিতর থ্যানাটোফেবিয়ার লক্ষন আরো প্রকট আকারে ধারন করে। শেষ তক দেখা যায় আক্রান্ত লোক টি যে অসুখের ভয়ে এত ভিতু হয়ে দিন পাত করছিল তা আরো প্রকট হয় নয়ত অন্য কোন রোগ তার শরীরে বাধিয়ে ফেলে। তাই এই সমস্যা থেকে যত দ্রুত রোগী মুক্তি পায় তত ই মঙ্গল। আমার এই পোষ্ট লেখার কারন হল মানুষকে এই সাইকোলজিক্যাল ডিজওয়ার্ডার থেকে সতর্ক করা। যাতে সে অথবা তার ঘনিষ্ট জন থ্যানাটোফেবিয়া তে আক্রান্ত না হন। ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
©2021 All rights reserved © kalakkhor.com
Customized By BlogTheme
error: Content is protected !!

Discover more from কালাক্ষর

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading