এক টাইম গার্ল্ফ্রেন্ড কে ইম্প্রেস করতে মাঝে মাঝেই তাকে টেক্স পাঠাতাম ” I want to touch your Soul by using the telopathic communication System” তখন টেলোপ্যাথি দিয়ে প্রেমিকাকে ইম্প্রেস করতে পেছিলাম নাকি পারি নাই সেই বিতর্কে যাবো না। তবে তখন থেকেই মাথায় এই টেলোপ্যাথি শব্দটি ঘুর পাক খায়। এর পর টেলোপ্যাথি প্রসংগ এলেই আমি তা দেখার চেষ্টা করতাম। পড়ার ট্রাই করতাম। আর এই করেই ঘটে কিছু বিদ্যা জমেছে তার কিঞ্চিৎ আজ কালাক্ষর ব্লগে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
লেখাটিতে আরো যা জানতে পারবেন
টেলোপ্যাথি বা টেলিপ্যাথি (Telepathy) যে নামেই ডাকা হউক না কেন বাংলায় একে ধ্যান বলে। আর আমরা বাংগালী রা এই ধ্যান নামক শব্দটির সাথে বেশ পরিচিত। কার প্রগঔতিহাসিক কাল থেকেই আমাদের সমাজে নয় দুনিয়ার নানান প্রান্তে ধ্যানের প্রচনল ছিল। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) হেরা পার্বতের গুহায় ধ্যান করার সময়েই তার উপর ওহী নাজিল হয়েছিল। বৈধ্য মতবাদের জনক কে ধ্যান মগ্ন অবস্থায় মাঝে মাঝে পাওয়া যেত। জাপানে এক দল মানুষ তো ধ্যান কে নিজেদের কালচার বানিয়ে ফেলেছিলেন প্রায়। আর হিন্দু মনী ঋষিদের কৈলাশ পার্বতের আশে পাশে ধ্যান করার কথা প্রায়সই শোনা যায়। ধ্যানের মাধ্যমে তারা জাগতিক সব কাজ নাকি করতে পারতেন। তখন ই মানব মনে এই বিষয়ে জানার কৈতুহল জাগে। আসে বিষয় টা কি? আর এই প্রায়গিক ক্ষমতা ই বা কত টুকু। আর কি ভাবে এই দুরুহ কাজ তারা সম্পাদন করতেন?
তবে সুনির্দিষ্টভাবে কবে কোথায় ধ্যানের উৎপত্তি হয়েছিল তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকগণ না দিতে পারলেও তারা বিভিন্ন গবেষনা এর মাধ্যমে একমত যে প্রথিবীতে প্রায় ৫০০০ বছর আগেও ধ্যানের প্রচলন ছিল।ধ্যানচর্চার সবচেয়ে প্রাচীন দলিল পাওয়া যায় প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বেদে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০-১০০ সালে পাঞ্চলির যে যোগ সুত্র প্রণীত হয় যেখানে অষ্টাগা ধ্যানের বর্ণনা পাওয়া যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ – খ্রিষ্টাব্দ ২০০ সালে লিখিত ভগবত গিতাতে ধ্যান যোগ এবং ধ্যানের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবন যাপনের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। ৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে জাপানে প্রথম ধ্যান এর প্রচলন হয়। অষ্টাদশ শতকে ধ্যান এর বিষদ জ্ঞ্যান পাশ্চাত্যে পৌঁছায়। তখন থেকেই ধ্যান নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মেথড উদ্ভাবিত করেন৷ আর টেলিপ্যাথি হল প্যারাসাইকোলজি বা প্যারানরমাল সাইকোলজির একটা ধাপ যা ধ্যানের সাথে সাদৃশ্য পুর্ন বা ধ্যানের সমগোত্রীয় হিসাবে বর্ননা করা যায়।
Telepathy এর বাংলা প্রতিশব্দ হল অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি বা Extrasensory perception বলতে আমরা মানুষের মনের ভিতর লুকায়িত একটি বিশেষ ক্ষমতা। যার প্রয়োগের মাধ্যমে অন্য কারো মনের তথ্য সংগ্রহকে বা অন্য কোন মানুষের মনের চিন্তার সাথে সংযুক্ত হওয়াকে বুঝে থাকি। এই খানে শারীরিক কার্য্যকলাপের তেমন কোনো ভুমিকা নেই। যা কিছু মন কেন্দ্রিক। অতীন্দ্রিয় উপলব্ধির আরেক নাম হল ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বা sixth sense যাকে অনেকে তৃতীয় নয়ন নামেও আখ্যায়িত করে থাকেন।
টেলিপ্যাথি শব্দটি গ্রীক শব্দ থেকে নেওয়া। গ্রীক শব্দ টেলি এবং প্যাথিয়া থেকে । টেলি শব্দের অর্থ দূরবর্তী এবং প্যাথিয়া শব্দের অর্থ অনুভূতি । তারমানে টেলিপ্যাথি হলো দূরবর্তী অনুভূতি । এই দূরবর্তী অনুভূতি বা টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ প্যারা সাইকোলজীর একটা অংশবিশেষ। এটা সাইকোলজির একটা শাখা যা মানুষের অদ্ভুতুড়ে কান্ড কারখানা বা ক্ষমতা নিয়ে রচিত।
প্যারা সাইকোলজিতে যদিও অলৌকিক ঘটনা বা ক্ষমতা নিয়ে কাজ করা হয় তবে সেটা বিজ্ঞানসম্মতভাবেই পুরোপুরি করা হয়। টেলিপ্যাথি বা প্রি-রিকোগনিশান হল কোন ঘটনা আগে থেকেই কোন কিছু ধারণা করে নেওয়া বা ভবিষ্যত দেখতে পাওয়া।
টেলিকিনসিস বা সাইকোকিনসিস হল কোন ধরণের শারীরিক সংশ্লিষ্ঠতা ছাড়াই কোন জিনিস নাড়াতে পারানোর ক্ষমতা,
কোন বস্তুকে স্পর্শ করে সেটা সম্পর্কে সব ডিটেইলস বলতে পারার ক্ষমতা কিংবা মৃত্যু স্পর্শ বা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা নির্নয় করা হয় সাইকোমেট্রি এর মাধ্যমে।
বাইলোকেশান হল একই সময় দুই জায়গাই অবস্থান করা। একই সময়ে দুই জায়গায় অবস্থান করার ক্ষমতা প্রথম বার শুনেছিলাম সুফি সাধক জালাল উদ্দিন রুমীর সমন্ধে জানতে গিয়ে। তার অধ্যাত্বীক ধর্ম গুরু দরবেশ শামস তাবরিজি এর জীবনী পড়তে গিয়ে। তিনি নাকি একি সময় দুই জায়গায় অবস্থান নিতে পারতেন বলে লোক মুখে বর্ননা পাওয়া যায়। আর এই দুরুহ কাজ যে টেলিপ্যাথিরই একটা ধাপ বাইলোকেশান এর
ম্যাধমেই করতেন তা এখন বুঝতে পারি।
আমাদের সবার জীবনের কোন না কোন ক্ষেত্রে টেলিপ্যাথি এর যোগসুত্র নেই এমনটা ভাবা উচিৎ নয়। যেমন হয়তো কখনও কাউকে অনেক মিস করছেন তখুনি সেই লোক কাকতালীয় ভাবে আপনাকে কল করে বসলো। বা বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে মনে হল অনেক দিন শর্শে ইলিশ খাই না, খুব খেতে ইচ্ছে করছে। বাসায় গিয়ে রাত্রে খাবার টেবিলে দেখলেন আপনার বাসায় সর্ষে ইলিশ রান্না করা হয়েছে। এসব ঘটনা আমরা খুব সহজেই কাকতালীয় ঘটনার তকমা দিয়ে ফেলতে পারি কিন্তু আমরা জানিই না যে এই চিন্তা গুলো এসেছে আমাদের মস্তিষ্কের এক অতীন্দ্রিয় সংবেদনশীলতা থেকে যেখানে আমাদের চিন্তা জগতের অবাধ প্রবেশাধিকার নেই।
টেলিপ্যাথি ৩ রকমের হয় । যেমন –
১। ফিজিক্যাল টেলিপ্যাথি,
২। ইমোশনাল টেলিপ্যাথি এবং
৩। মেন্টাল টেলিপ্যাথি ।
কোন কথা-বার্তা, ইশারা ইঙ্গিত বা দেখা সাক্ষাৎ ছাড়াই দূরবর্তী দু’জন মানুষের যোগাযোগ করার ক্ষমতা প্রকাশ করা হয় এই মেন্টাল টেলিপ্যাথির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে দুই জন মানুষের দূরত্ব এক রুম থেকে অন্য রুমের হতে পারে আবার পৃথিবীর একপ্রান্ত হতে অপর প্রান্তেও হতে পারে । আধুনিক যুগে অনেকেই মেন্টাল টেলিপ্যাথির অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে চান না কিন্তু আমি আমার লাইফে ঘটে যাওয়া এরকম বেশ কিছু উদাহরণ দিতে পারবো যা মেন্টাল টেলিপ্যাথির সংগার সাথে মিলে যায়।
মেন্টাল টেলিপ্যাথি মুলত মানুষের ইমোশন/ আবেগ নিয়ে গঠিত হয় । দুই জন ছেলে মেয়ের ভিতর খুব ভাল বোঝা পড়া। দুই জন দুই জন কে খুব ভালবাসে। কিন্তু তাদের দুই জনের বাস দুই জায়গায় এই জাতীয় ভালবাসাতে মেন্টাল টেলিপ্যাথি খুব কাজ করে। শুধু কি তাই একজন মা তার বাচ্চা ব্যথা পেলে টের পান , মা-বাবা মারা গেলে সন্তান টের পেয়ে যায় । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে – মেন্টাল টেলিপ্যাথি শুধু মাত্র ঘনিস্ঠ বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের মধ্যে কাজ করতে দেখা যায় ।
গবেষকরা পরিচিত অপরিচিত এবং ঘনিষ্ট এই তিন ধরনের মানুষের মধ্যে মেন্টাল টেলিপ্যাথি এর পরীক্ষা করে দেখতে পেরেছেন যে মেন্টাল টেলিপ্যাথি অধিক বেশি শক্তিশালী ফলাফলের স্কোর করে আত্মীয় কিংবা রক্ত সম্পর্কীয় ২জন মানুষের মধ্যেকার টেলিপ্যাথিতে ।
মেন্টাল টেলিপ্যাথি সাধারনত দু’রকমের হয় ।
১.এখানে দু’জন মানুষের দূরত্ব থাকে পৃথিবী ব্যাপি । কেউ কাউকে না দেখেই এবং কথা না বলেই দুই জন দুই জনের মনের ভিতরের তথ্য পাদান প্রদান করতে পারে।
২.এখানে দু’জন মানুষ দু’জন কে দেখবে কিন্তু কোন কথা না বলে শুধু মাত্র যুক্তি সংগত চিন্তা করে তথ্য পাঠাবে । এভাবে যোগাযোগের যত বেশী চেষ্টা করা যায়। টেলিপ্যাথি নিয়ে প্র্যাকটিস করা হবে তত বেশি সহজ হয়ে যায়। আর তাতে এর মাধ্যমে যোগাযোগ সহজ হয়ে যায় ।
এই পদ্ধতিতে প্রথমেই এমন কাউকে নিতে হবে যাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় এবং যে এই ব্যাপারে আগ্রহী । দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মন খুলে অন্যজনের কাছে তথ্য পাঠানোর জন্য বসতে হবে । এখানে একজন কে সেন্ডার হতে হয়। অন্যজন কে সেই সেন্ডারের পাঠানো তথ্যর রিসিভার হতে হয় । এইটা দিন দিন ইম্প্রুভ করতে হয়। তাই প্রথমে ছোট ছোট ব্যাপার শেয়ার করতে করতে ধাতস্ত হয়ে উঠতে হয় – যেমন কোন নাম কিংবা রং । পরে যত বেশী পারফেক্ট টেলিপ্যাথার হতে থাকবে তত তথ্য গুলো ও ক্রমন্ময়ে বড় হতে থাকবে।
এই প্যাটার্নে সাবজেক্ট এবং পরীক্ষক মুখোমুখি বসতে হয়। পরীক্ষকের সামনে থাকে। একটা মনিটর যেখানে ক্রমাগত ছবি বা সিম্বল জেনারেট হতে থাকে। পরীক্ষকের সামনে রাখা মনিটর এ যে ছবি দেখানো হয়, টেলিপ্যাথকে সেটা বলতে হয় অথবা এঁকে দেখাতে হয়। টেলিপ্যাথি জানা লোক টি যাকে আমরা সাবজেক্ট হিসাবে নামকরন করছি সে টেলিপ্যাথি এর মাধ্যমে পরীক্ষকের মস্তিষ্কে যে ইমেজটা পড়ছে সেটা পড়তে পারে এবং আর তার পড়ার উপর ভিত্তি করেই ছবি আঁকে। বছরের পর বছর এই পদ্ধতি নিয়ে পরিক্ষা করা হয়েছে। খুবই আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে এই পরিক্ষায় খুব ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে।
স্যার রিচার্ড বার্টন, ডিউক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জে. বি. রাইন বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করার জন্য অতীন্দ্রিয় উপলব্ধিকে ব্যবহার করেন। বিজ্ঞানীরা সাধারণত অতীন্দ্রিয় উপলব্ধিকে অগ্রাহ্য করেন, কারণ এক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য নেই। এছাড়া পরীক্ষামূলক পদ্ধতি না থাকায় এ পদ্ধতির কোন সুস্পষ্ট নির্ভরযোগ্যতা পাওয়া যায়না।
মডেল – বাধন। ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
অধ্যাপক জে. বি. ও তাঁর স্ত্রী লুসিয়া রাইন-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জে. বি. ও তাঁর স্ত্রী লুসিয়া রাইন ১৯৩০ সালে টেলিপ্যাথি বা অতীন্দ্রিয় অনুভুতি নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেন। গবেষনায় লুসিয়া স্বতঃস্ফূর্ত বিষয়গুলো নিয়ে এবং জে. বি. রাইন পরীক্ষাগারে কাজ করেন। তারা কিছু জেনার কার্ড নিয়ে বাস্তব নিরীক্ষা ধর্মী গবেষণা চালান। বর্তমানে এই কার্ডগুলি কে ইএসপি কার্ড বলা হয়। যে বি রাইন ও লুসিয়া তাদের গবেষনার কার্ডে সার্কেল, স্কয়ার, ক্রস, স্টার এসব চিহ্ন দিয়ে অংকন করেন। তাদের এই কার্ড গুলো পাঁচধরণের হয়। ২৫ টি কার্ড দিয়ে তারা একটি প্যাকেট বানান।
পরীক্ষায় প্রেরক গবেষনার কার্ডগুলির সিরিজের দিকে লক্ষ্য রাখন, অপরদিকে গ্রাহক প্ররকের লক্ষ্য রাখা কার্ড গুলির চিহ্নগুলো অনুমান করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আলোকদৃষ্টি পরীক্ষার ক্ষেত্রে, কার্ডের সেটটি গোপন করা হয় এবং গ্রাহক অনুমান করতে থাকেন। পূর্ব লব্ধ জ্ঞান বা প্রিকগনিশন পরীক্ষার ক্ষেত্রে, গ্রাহকের অনুমানের পর কার্ডগুলোর ধারা নির্ধারণ করা হয়। প্রথমে কার্ডগুলো হাত দিয়ে এলোমেলো করা হয়, তারপর মেশিন দিয়ে। রাইন সাধারণ লোককে পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করেন এবং দাবি করেন, তারা প্রত্যাশার চেয়ে ভাল করেছে।
১৯৪০ সালে রাইন এবং বিজ্ঞানী জে. জি. প্র্যাট ১৮৮২ সালে গবেষনার জন্য কার্ড ভিত্তিক পরিক্ষার প্রচলন করেন। কার্ডভিত্তিক অনুমান সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলোর ফলাফলের উপর তারা পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের একটি পর্যালোচনা রচনা করেন। তারা এই পর্যালোচনার নাম দ্যান এক্সট্রা-সেন্সরি পার্সেপশন আফটার সিক্সটি ইয়ার্স বা Extra-Sensory Perception After Sixty Years। এটি বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রথম Meta Analisis নামে স্বীকৃত। এই মেটা এনালাইসিস এ রাইনের পরীক্ষার সকল প্রশ্নোত্তর এর বিষদ ব্যাখ্যা করা আছে। এই গবেষনা তত্র সর্বমোট ৫০টি পরীক্ষার কথা উল্লেখ আছে, এর মধ্যে ৩৩টিতে রাইন ছাড়াও অন্যান্য তদন্তকারীর ও ডীউক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানীদের গবেষনা আছে।
ইতিহাস বলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে শত্রুদের মনোজগতে ভ্রমন করার মাধ্যমে তাদের মস্তিকের গোপন তথ্য জানতে পারবে। এই জন্য কিছু লোকদের টেলিপ্যাথি এর ট্রেনিং দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং গ্রেট ব্রিটেন সহ বিভিন্ন দেশ। ট্রেনিং এর পর তাদের পরিক্ষা করা হয় আর তাতে যে ফলাফল পাওয়া গিয়েছিল তা ছিল ঈর্ষান্বিত। সে সময় টেলিপ্যাথি সুপার পাওয়ার দেশ গুলোর মিলেটারি ইন্টিলিজেন্সে একটি বিশেষ আসন করে নিয়েছিল। তখনকার দিনে টেলিপ্যাথি এর ধারকদের বলা হত ‘সাই এজেন্ট। তবে বর্তমানে টেলিপ্যাথিকে বিজ্ঞানীরা রিমোট সেন্সিং বলে থাকেন। এজেন্টরা তাদের মনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এবং বস্তু সম্পর্কে তথ্য দ্যান।
ঊল্লেখ্য আমাদের শরীর হচ্ছে একটি জলন্ত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজ। যাতে কার্বন আছে। ইলেক্ট্রনিক আছে। পানি আছে। লবন আছে। নানা যৌগ আছে যা আমাদের শরীর বৃত্বীয় ক্রিয়াকালাপ ঠিক করে থাকে। আমাদের শরীরের ভিতর যে ইলেকট্রিসিটি বিদ্যামান তা দিয়ে ২৫০ মেগা ওয়াটের একটা ইলেকট্রিক বালব জালানো সম্ভব। একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইজ যা দিয়ে তথ্য আদান প্রদান করা যায়। তার গঠন প্রক্রিয়ায় যে সব মৌল লাগ তা আমাদের শরীরের আছে। একটি রিমোট কল্ট্রোল যে সব যন্ত্র দিয়ে বানানো হয় – তার সব উপাদান ই আমাদের শরীরে আছে। বাকি থাকে সেই যৌগ গুলোকে সময় উপযোগী করে কর্ম সম্পাদন করার ক্ষমতা দান করা। যে টা এক জন লোক তার কন্সেন্টেশান বিল্ড আপ করে করে থাকে। তবে কেন মানুষ টেলিপ্যাথি পারবে না। টেলিপ্যাথি নিয়ে গবেষণা করা লোক জন বেশির ভাগ গবেশনার শেষ ভাগে এমন কথা বলেই তাদের লেখা শেষ করেছেন। আমিও তাই তাদের অনুষরন করলাম। ভাল থাকবেন – পোষ্ট টি যদি ভাল লাগে শেয়ার দিবেন। আর আপনার মুল্যবান মতামত মাস্ট জানাবেন।
Leave a Reply