সম্পর্কের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ পৃথিবীর সমস্ত বন্ধন বিজ্ঞানের সমকরনের হিসাব মেনে চলে। বিজ্ঞান থেকে আমরা জানি যে,দুই বা ততোধিক পরমানুর মিলনের ফলে একটি অনু গঠিত হয়। আর এই পরমানুর মিলন প্রকৃয়া হয় পরমানু গুলোর ভিতর থাকা ধনাত্মক আর ঋনাত্বক আধানের আদান প্রদানের মাধ্যমে। মানে এক জন দ্যায় আর এক জন ন্যায়। আর এই দেওয়া নেয়ার ফলে ই দুইটি পরমানু একত্রে মিলে একটি অনুর বন্ধন তৈরী করে।
আমাদের মানব সমাজে বাস করা মানুষের রিলেশানশীপ গুলো ও একি রকম। দুই জন মানুষ একত্রে বাস করতে গেলে সব বিষয়ে দুই জনের সমান অংশ গ্রহন থাকে না। কেউ দ্যায় ( সেইটা ভালবাসা, ছাড়, কিংবা অন্য কিছু) কেউ ন্যায়। এই ভাবেই একটি সুন্দর সম্পর্কের সূচনা হয়। কিন্ত সেই দেওয়া নেওয়া টার পরিমান কর টুকু? যত টুকু দিলে কেউ এক জন নিজকে নিঃস্ব হয়ে যায় না। বা নিজেকে প্রতিরিত ভাবে না। যদি ভাবে কিংবা ছাড় দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেলে সেই সম্পর্ক আর সম্পর্ক থাকে না। এটি তখন বিষাক্ত হয়ে যায়। আর এই বিষাক্ততা নিয়েই যে সম্পর্ক টিকে থাকে তাকে আমরা টক্সিক রিলেশানশীপ বলি।
এর পরেও যদি না বোঝেন তবে আমার এখন একটি গল্পের অবতারনা করতে হবে- ধরুন আপনি মানুষটা অনুভূতি প্রবণ ও দয়ালু। ধরুন একদিন একটা সাপ আপনার কাছে এলো।তাকে দেখে আপনার মনে হলো সে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত।আপনি তাকে খেতে দিলেন যত্ন করে। খাবার পর আপনি পরম স্নেহে তার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন। আরাম পেয়ে অচিরে সে আপনার কোলে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।এর পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেল। এবার আপনার নিজেরই ক্লান্ত লাগছে, ঘুম পাচ্ছে। একসময় নিজের অজান্তে আপনি নড়ে চড়ে বসতে গেলেন। আর সাপ চমকে জেগে উঠে আপনাকে ছোবল মারল।
সৃজনশীল ব্লগ কালাক্ষর এ হিউম্যান সাইকোলজী নিয়ে নিরীক্ষাধর্মী লেখাগুলো পড়ে ফেলার অনুরোধ রইল
দয়ালু (না কি চালাক!)।নামমাত্র বিষ ঢেলেছে আপনার দেহে। আপনি মরেননি।কিন্তু বিষের প্রদাহে আপনি জ্বলছেন। কষ্ট পাচ্ছেন, দুর্বল লাগছে। বিষের তাড়না সইতে সইতে আপনার দুর্বল বুকে খুশির হাওয়াও বইল খানিক। সাপটি সত্যি খুব ভালো। কেমন আপনার দিকে অপরাধী অপরাধী মুখ করে তাকাচ্ছে( বিভ্রম)।আপনার স্নেহ প্রবণ মন আবার গলে গেল।
কিছুদিন পর আবার সাপটি নিজে খেয়ে, আপনাকে অভুক্ত রেখে, আপনার কোলে উঠে ঘুমিয়ে পড়ল। সময় গড়াল, আগের ঘটনাগুলির পুনরাবৃত্তি হল। শতবার ছোবল (আর হটাৎ একদিন ধৈর্যের প্রশংসা)…. আপনি এতটা দুর্বল হয়ে পড়লেন যে, প্রতিবাদ করার শক্তি রইল না। এভাবে গড়িয়ে চলল,বিষাক্ত সম্পর্ক অনেকটা এইরকম।
মডেল – বাধন। ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
টক্সিক রিলেশান গুলো তৈরি হয় মুলত এক জনের সেচ্ছাচারীতা আর এক জনের তা মেনে নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ফলেই। আমরা হয়ত বর্তমান কালে ঢাকা তথা পশ্চিম বাংলার কলকাতার চিত্র টি তুলে ধরতে চাই। আমাদের সমাজে প্রতিটি মা বাবা চান তার মেয়েকে ভাল ছেলের সাথে বিয়ে দিবেন। কিন্তু তাদের কাছে ভাল ছেলের সংগা কি তা শুনলে হাসবেন। তারা ভাল ছেলে মানে ছেলের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি টা পরিমাপ করেন। কোন দিন ভাল ছেলে মানে ছেলেটির আচার ব্যাবহার কেমন? কিংবা ছেলেটির জীবন নিয়ে ফিলিংস কি তা জানতে চান না। তার পর তারা ধরে পাকড়ে তাদের মেয়েদের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবল ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দ্যান। আর ওই ছেলেটা যে বিয়ে করলো সে কি ভাবে জানেন? মেয়ের মা বাবা আমাকে দেখে তাদের মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দ্যায় নাই। দিয়েছে আমার জব দেখে, ক্যারীয়ার দেখে। আমার টাকা দেখে। সো- টাকা থাকলে এই জাতীয় মেয়ে আরো পাওয়া যাবে বা যায়। তিনি তখন বাসায় বউ রেখে অন্য মেয়ের কাছে যায়। কারন টাকা উড়ালেই যদি মেয়ে পাওয়া যায় তবে কেন এক মুখ দেখে জীবন পার করবে?
বিলিভ মি আমাদের সমাজের বেশির ভাগ ছেলেই এমন। বিস্বাস না হলে আপনি নিজের মন কে প্রশ্ন করুন, আপনি যদি ছেলে হন তবে তার উত্তর আপনি নিজেই নিজেকে দ্যান। আর আপনি যদি মেয়ে হন তবে আপনি ও নিজেই নিজেকে দিন। আপনার ফেসবুকে কত জন বিবাহিত পুরুষ আপনাকে নক দ্যায় রাত বারোটার পর। কিংবা সময় অসময়ে তার হিসাব কষলেই বেড়িয়ে পরবে। আমাকে আর বলতে হবে না। এর পর মেয়েটা দিনের পর দিন হাজবেন্ড এর এহেন ব্যাবহার সয্য করতে করতে এক সময় বিদ্রহী হয়ে ওঠে। আর তখনই শুরু হয় টানা হ্যাচড়া।
শুনলে অবাক হবেন, আমাদের এই ঢাকা শহরের ৮৭% ফ্যামিলিয়ার আন হ্যাপী। দুই জন মানুষ এক ছাদের তলায় থাকে। বাচ্চা উতপাদন করে। কিন্তু কেউ কারো সাথে সেই অর্থে হ্যাপী না। কারন মেয়েটি হয়ত লেখা পড়া জানা কিন্তু সে জব করেনি বলে তার এক জন মানুষ দরকার যে তাকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিবে। আর ছেলেটা বাইরে যাই করুক বাসায় এসে দেখবে তার বাচ্চারা ভাল আছে। বউ খাবার রেডি করে বসে আছে। ব্যাস এই টুকুই। কিন্ত এইটা কি রিলেশান? এইটা কি সুস্থ জীবন? মাস্ট বি না।
সৃজনশীল ব্লগ কালাক্ষর এ হিউম্যান সাইকোলজী নিয়ে নিরীক্ষাধর্মী লেখাগুলো পড়ে ফেলার অনুরোধ রইল
একটা মেয়ে চার কারনে হাজবেন্ড এর উপর বিরক্ত হয়। এক তাকে যদি তার শশুর বাড়ির লোক জন সম্মান না করে। দুই, তার হাজবেন্ড যদি তাকে ঠকায়, তিন, হাজবেন্ড এর ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস, চার, হাজবেন্ড এর সেক্সুয়াল সমকক্ষতা। এর যে কোন একটার ঘাটতি একটি সম্পর্ক বিষিয়ে উঠতে বাধ্য।
একটা মেয়েকে আপনি তার চাহিদার সব কিছু দিলেন কিন্ত তার সেক্সুয়াল নিড পুরন করলেন না। সে কিন্ত এক দুই দিন দেখবে তার পর আপনার সাথে তর্কে জরাবে। কারন এইটা তার জৈবক চাহিদা। এবং এক মাত্র আপনার ই দায়িত্ব তা পুরন করার। এখন যদি আপনি তা না পারেন দ্রুত ডাক্তার দেখান। আপনার মাথার ট্রেস ঝেড়ে ফেলে আপনি সুস্থ হয়ে ওঠার ট্রাই করেন। নইলে আপনার বউ যদি আপনার অফিসে যাবার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে অন্য কারো কাছে যায় আপনার তা মেনে নিতে বাধ্য থাকতে হবে। ঢাকা শহরের একটা সমিকরন দেই। আনফিশিয়ালি দিচ্ছি কারন এই সমিক্ষা টি আমি করেছিলাম যে কাজের জন্য (ডকুমেন্টারি ফিল্ম) সেই কাজটি করনার কারনে বন্ধ আছে। আর কবে হবে কিংবা আদ্য হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই৷ কিন্ত এই কাজ (ডকুমেন্টারি ফিল্ম) এর কাজ করতে গিয়ে আমি আমার একটি গ্রুপ বানিয়ে ঢাকা সিটির ৩০০০ দম্পত্তির একটা সমিক্ষা চালিয়েছিলাম। তার ফলাফল কি জানেন?
ঢাকা শহরের বিবাহিত দম্পত্তিদের ৮৭% আন হ্যাপী ফ্যামিলি বিলং করে। ৫৩% ফ্যামিলি হাজবেন্ড কিংবা ওয়াইফ শারীরিক ভাবে তার হাজবেন্ড/ওয়াইফ এর দৈহিক চাহিদা পুরন করতে পারে না। কিংবা পুরন করার ক্ষমতা থাকলেও সেক্সুয়াল বিহ্যাভ আত্বকেন্দ্রিক। আর এই কারনে ৪৬% ফ্যামিলিয়ার পরকিয়া রিলেশানশীপ করে। কিংবা করার সুযোগ খুজছে। শুধু তাই নয়- হাজবেন্ড এর সাথে ভাল রিলেশান আছে কিন্তু হাজবেন্ড এর ফাইন্যান্সিয়াল ডেভেলপমেন্ট ভাল না এই কারনে অনেক মেয়ে কোন পয়সা ওয়ালা বয়ফ্রেন্ড খোজে যাকে টাইম দিলে সে তাকে অনেক দামী গিফট করতে পারবে। আর এইটা যদি কোন হাজবেন্ড দেখে বা হুট করেই তার দৃষ্টিগোছড় হয় তো রিলেশানশীপের মাঝে ঝড় ওঠে। কিন্ত কেন এই সব করতে হবে? সারা দুনিয়ার সব দেশের মেয়েরা জব করে নিজের পায়ে দাড়াতে চায়। আর আমাদের দেশের মেয়েরা পড়া লেখা করে জব করার জন্য নয়, স্রেফ ভাল কারো সাথে বিয়ের জন্য।
মডেল – পরীমনি। ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
পাকিস্থানের একটা চিত্র দেই। পাকিস্থানে বউ ডাক্তার কিংবা ডাক্তারী পড়ালেখা করছে এইটা বেশ সম্মান জনক হিসাবে দেখা হয়। ব্যাস পাকিস্থানের বেশির ভাগ মেডিকেল কলেজ গুলোতে খোজ নিয়ে দেখবেন ৭০% মেয়েরা এই খানে পড়তে আসবে। কিন্তু এত কষ্ট করে মেডিকেল এ ভর্তি হয়ে পড়ালেখা শেষ করার পর যদি কোন মেয়ে ডাক্তার না হয়ে কারো বউ হয়ে উনুন জালাতে যায় তখন ই বোঝা যায় আমাদের এই উপমহাদেশের মেয়েরা কত পিছিয়ে। সারা দুনিয়ার মেয়েরা মা হয়। আবার বিজ্ঞানী হয়। কর্পোরেট ওয়াল্ড মাতায়। আর আমাদের দেশের মেয়েরা পড়া লেখা করে বাচ্চা উতপাদন করে আর উনুন জালায়। হয়ত বলবেন এর জন্য পুরুষ রা দায়ী – তাদের জব করতে দেওয়া হয় না। তবে ভুল। আমি আমার জীবনে অনেক মেয়েকে দেখেছি- ভাল স্টুডেন্ট, জব ও করে কিন্ত ভিতর ভিতর সে খুব বিরক্ত।
কারন তার মাথায় এই জব হল একটা বোঝা। সে কেবল সুযোগ খোজে কেউ এক জন আসবে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। হয়ত কেউ এক জন আসে। কিন্ত যে টাকে সেই মেয়েট উদ্ধার মনে করে পুরুষ টি সেইটাকে তার দুর্বলতা ভাবে। শুরু হয় ডমিনেটিং- মেয়েটি এক সময় বিদ্রোহী হয়ে যায়। কারন তার তো এই টা চাওয়ার ছিল না। তার চাওয়ার ছিল তার হাজবেন্ড সারা দিন অফিস করবে তার পর বাসায় এসে নিজ হাতে রান্না করে তাকে তুলে খাওয়াবে। আর সে তুলবে সেলফি৷ তার পর ফেসবুকে ক্যাপশন ওয়ালা স্ট্যাটাস দিবে। কিন্ত বাস্তবে যখন তা হয় না – তখন দুই জনের ভিতর দুরুত্ব তৈরী হয়। শুরু হয় এক বিষাক্ত সম্পর্ক যাকে টক্সিক রিলেশান বলা হয়।
বিষাক্ত সম্পর্ক বা টক্সিক রিলেশনশিপ নিয়ে বলতে গেলে বিষাক্ত ব্যক্তি বা টক্সিক পারসন কে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।টক্সিক পারসন কে একটি এনারজি ভ্যাম্পায়ার (energy vampire)হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারে।ভ্যাম্পায়ার যেমন রক্ত চুষে খায়, তেমনি এরা অন্যের মানসিক শক্তি শোষণ করে।
মডেল – বহ্নি হাসান – ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
যে সম্পর্কে একজন নিজেকে ঢেলে দেন সম্পর্কের খাতিরে, অথচ অন্যজন নিজের ইচ্ছেমত চলেন ; সমানাধিকারের না হয়ে সম্পর্কটি দাঁড়ায় চালক ও চালিত ব্যক্তির; এভাবে নিয়ন্ত্রক ব্যক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে চলতে তার জীবনী শক্তি(আত্মসম্মান বোধ, আনন্দ, কাজ করার স্পৃহা) ক্ষয় পেতে থাকে, সেই সম্পর্ক নিঃসন্দেহে বিষাক্ত।
প্রথম প্রথম ভুক্তভোগী ব্যক্তি বুঝতে পারে না কী ঘটে চলেছে। কারণ সময় বিশেষে আপনি ছিঁটে ফোঁটা প্রশংসাও পাবেন।শেষে অনেকটা সময় পার হয়ে যাবার পর যখন নিয়ন্ত্রণের ফাঁস গলায় শক্ত হয়ে চেপে বসে তখন মানুষ বুঝতে পারে সম্পর্কটি আসলে ফাঁদ। কিন্তু, তখন সে এত ক্লান্ত বোধ করে যে মুক্তির জন্য লড়াই লড়া কঠিন হয়ে পড়ে। ক্রমাগত সমালোচনা তার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরিয়ে দেয়।
চার দেয়ালের অন্দরে যে সব অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাদের মধ্যেই বিষাক্ত সম্পর্ক লুকিয়ে থাকে। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। ভুক্তভোগী মাত্র জানে। এর বাইরে, যেমন স্কুল কলেজের বন্ধু, সহকর্মী, বস বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিষাক্ত সম্পর্ক গড়ে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম, কারণ বিষ ঢালতে হলে কাছে থাকাটা প্রয়োজন।
মডেল – মৌসুমি হামিদ। ছবি – কালাক্ষর ডেক্স
পরিবারের বাইরে অল্পস্বল্প চোখে পড়ে এমন ঘটনা/মানুষ/সম্পর্ক। আপনার বস যদি বলেন “তুমি তো আমার নিজের ভাই এর মত” বা আপনার উর্দ্ধতন সহকর্মী বলেন “আমি তোমাকে একদম নিজের বোনের মত দেখি” তাহলে সাবধান হবেন। এরকম সম্পর্ক প্রশ্রয় দিলে তা আপনার জন্য শ্বাস রোধকারী বিষাক্ত সম্পর্কে পরিণত হতে সময় লাগবে না
তাই আগে থেকে সাবধান হোন। জেনে নিন আপনার সম্পর্কগুলোর স্বভাব চরিত্র। আর নিরাপদ দূরত্ব (emotional distance)বজায় রাখুন। যে কোনো সম্পর্ককে গুরুত্ব দেবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন। অন্য কাউকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসুন। সম্পর্কের প্রথম দিন থেকে নিজের ভালো থাকাকে অগ্রাধিকার দিন। আর যাই করুন, আপনার ভালো থাকার সাথে আপস করবেন না। তাহলে বিষাক্ত সম্পর্ক শক্ত বুনিয়াদ তৈরি করার আগেই আপনি তাকে চিনে নিতে পারবেন।ফলে, আপনাকে কাবু করার আগেই বিষাক্ত সম্পর্ককে বিদায় জানাতে আপনাকে তেমন বেগ পেতে হবে না।
আমার লেখা যদি ভাল লাগে শেয়ার করবেন। আর মতামত জানাতে কমেন্টস করবেন। তাতে কিছুটা ইনেসপায়ার পাবো। ধন্যবাদ
Leave a Reply