১.ভাবী, আপনি বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না। দেখে মনে হয়, মাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছেন! সিরিয়াসলি!
২. ভাবী, একটা কথা বলবো অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু ঠোঁটের উপর তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়ে দিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!
৩. মন খারাপ কেন ভাবী, ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!
৪. একটা কথা বলি আপু, কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলে যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!
৫. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানায়! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি!
৭. জন্মদিনে এবার কী কী করলেন আপনারা?
আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!
কী যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!
বাস্তবতার চরম সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ, পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ, পরিচিত বিবাহিত মেয়েদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো “জাস্ট প্রশংসাবাক্য” বলে মনে হয়।
কিন্তু এর গভীরে যে কত বড় লম্পট, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে থাকে, খেয়াল না করলে বুঝতেই পারবেন না। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!
যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তু নিজের স্বামীকে অনেক ভালোবাসে।
পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা, “আমি হলে আপনার পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম” কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবে, আমার স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো পুরুষ পাইতাম!
যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছে, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করে না, সে মহিলাও যখন পরপুরুষ কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনে তখন সে মহিলা আবেগে প্ররোচিত হয়ে পরপুরুষ কুলাঙ্গারটিকে আপন ভেবে ভূল করতে শুরু করে!”
আর বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখে আর ভাবতে থাকে, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর আমার স্বামী আমার সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো না!
এভাবেই শুরু হয়, পৃথিবীর ঘৃণতম, ধিকৃত, নিকৃষ্টতম সম্পর্ক। এই নিকৃষ্টতম সম্পর্ক ধ্বংস করে দিতে পারে একটা হাসিখুশি সুখী পরিবারকে! নষ্ট করে দিতে পারে অবুঝ নিষ্পাপ কোমলমতি আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ!
যদি জীবনে সুখী হতে চান, এ সমস্ত কুলাঙ্গারদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল্লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। যার পরিণতি শুধু তখনই বোঝা যায় যখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়, আর ফাঁদে ফেলা কুলাঙ্গারটি সুকৌশলে সঁটকে পড়ে…
Leave a Reply