কালাক্ষর ব্লগের আজকের পোস্ট মর্টেম এর বিষয় হল- Maturity এর সাত কহন। তার মানে আজ আমরা ম্যাচুরিটি এর ত্যানা প্যাচাবো।
ম্যাচুরিটি কি?
ম্যাচুরিটির সংজ্ঞা একেক জন একেক রকম ভাবে দিয়ে থেকেন । তাই আমার কাছে মনে হয় ম্যাচুরিটি হল মানুষ কে বদলে দেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের প্রতি ফোকাস রেখে বাস্তব্ধর্মী সিদ্বান্ত নেয়ার মাধ্যমে নিজের সামগ্রীক সাফল্য সাধনের পাশাপাশি আশে পাশের সকল মানুষের সহিত একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলাকেই ম্যাচুরিটি বলে –
কি ভাবে বুঝবেন আপনি ম্যাচুউরড কিনা?
- লাইফে কে আসলো কে গেলো তাতে কেয়ার না করা..
- সব সময় ড্যাম কেয়ার মুডে চলা,কে কি ভাবলো, তোমার কাজে কার কি আসে যায় তা নিয়ে না ভাবা..
- ফ্রেন্ডলিস্টে ফ্যামিলির কাউকে না রাখা..
- কষ্ট পেলে লুকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়ায় কষ্ট উড়ানো..
- নিজের দুইটা তিনটা গার্ল ফ্রেন্ড / বয় ফ্রেন্ড থাকা.. এলাকার বড় ভাইদের সাথে সেই লেভেলের ভালো রিলেশন রাখা..বাড়ির সবার মুখের উপর তর্ক করা..
আপনি কি এগুলাকে ম্যাচুরিটি ভাবেন?
উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে.. ভাই সরি আপনার ভেতরে ম্যাচুরিটির “M” ও এখনো তৈরি হয় নাই..আপনি এখনো টিনেজার লেভেলের আছেন আর যদি আপনি টিনেজার নাও হন তা হলে আপনার গায়ে এখনো টিনেজারদের বাতাসটা রয়ে গেছে..

তাঞ্জিন তিশা। ছবি – ফেসবুক
এবার আসি আমার চোখে ম্যাচুরিটি কি? বা আমি কি ভাবে মানুষ কে ম্যাচিউর ভাবি?
- যেদিন তোমার চিন্তায় তোমার মায়ের ঘুম নষ্ট হবে না,মানে তুমি এমন কোন কিছু করবা না যাতে তোমার জন্য তোমার মা চিন্তায় মড়ে, বরং উলটা তুমি চিন্তা করবা যে তোমার মা ঘুমাইছে কিনা সেদিন থেকে নিজেকে ম্যাচুউরড ভাইবা নিও
- বাবা মায়ের সাথে কোন কিছুর জন্য ঝগড়া না করে উলটা তাদের দেয়া যে কোন কিছুতে যেদিন থেকে খুশি হতে শিখবা, নিজে তাদেরকে কিছু দিতে শিখবা সেদিন থেকে নিজেকে ম্যাচুউরড দাবী কইরা নিও,
- স্যাকা খাইছো? কিংবা কোন দুঃখ পাইছো বা কেউ ঠকাইছে সেই কথা ঘন্টায় ঘন্টায় নিজের সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে মানুষের সমবেদনা পাওয়া কিংবা কারো এটেনশান নেবার মনোভাব যে দিন থেকে নিজের মধ্যে খুজে পাবা না সেদিন নিজেকে ম্যাচুউরড ভেবো..
- কাছের কিংবা দুরের,বাস্তবিক লাইফ কিংবা সোসাল লাইফ কারো ড্রেসাপ,চলাফেরা, কথাবার্তা কিংবা পরিবার নিয়ে খোটা দেয়া কিংবা mock করার মানষিকতা যেদিন থেকে তোমার দূর হবে.. ভেবে নিও তুমি সেদিন থেকে ম্যাচুউরড বলে গন্য হবা,
- পার্সোনাল লাইফ কিংবা কর্মক্ষেত্র কিংবা অন্য কোথাও যদি কেউ তোমার সাথে রুড বিহেভ করে, ক্ষতি করছে.. এই জন্য তুমি তার উপর রেগে মেগে রিভেঞ্জ না নিয়ে হাসি দিয়ে মাফ করার মনোভাব তোমার মধ্যে যে দিন আসবে সে দিন নিজেকে ম্যাচুউরড ভেবে নিও…
- না “বলতে শেখা, স্পেশালি মেয়েদের জন্য এটা.. যেটা তোমার জন্য খারাপ, তোমার পছন্দ না সেটায় মানিয়ে নিতে নিতে নিজেকে কষ্ট না দিয়ে না বলতে শেখাটাও ম্যাচুউরড মানুষের লক্ষন..
- অন্য একজন মানুষের ও ইমুশন আছে, ফিলিংস আছে.. সেটাকে হার্ট করার আগে যেদিন তোমার মন তোমাকে বাধা প্রদান করিবে সেই দিন থেকে নিজেকে ম্যাচুউরড দাবী কইরা নিও,
- যখন তোমার অনেক কিছু বলতে মন চাইবে বাট সামনে থাকা মানুষটা তোমার সেই কথা গুলা শুনার অযোগ্য বুজতে পেরে চুপ করে থাকবা..তখন নিজেকে ম্যাচুউরড বলে দাবী কইরো..
- সব ছেলে মানেই খারাপ, সব মেয়ে মানেই বিচ..এ ধরনের মনোভাব যেদিন মন থেকে দূর হবে সেদিন থেকে নিজেকে ম্যাচুউরড ভাইবো..
- সংখ্যা, অর্থ, ক্ষমতার বিচারে না মেপে তুমি যে দিন থেকে মানুষের লয়ালিটি দেখে কাউকে বন্ধু বানাতে শিখবা সেদিন নিজেকে ম্যাচুউরড ভেবে নিও..
লাস্ট বাট নট লিস্ট,তুমি যেমন নিজেকে ঠিক সেভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে যেদিন থেকে লজ্জা করবে না,নিজেকে জাহির করতে বা শোঅফ করার জন্য বাড়তি আয়োজন লাগবে না সেদিন ভেবে নিও তুমি ম্যাচুউরড..
Like this:
Like Loading...
Related
Leave a Reply