1. sjranabd1@gmail.com : Rana : S Jewel
  2. solaimanjewel@hotmail.com : kalakkhor : kal akkhor
দ্যা গ্রেট ইমু ওয়ারঃ ইতিহাসের সব চেয়ে অদ্ভূতুরে যুদ্ধ ইমু যুদ্ধ এর ইতিবৃত্ব - কালাক্ষর
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

দ্যা গ্রেট ইমু ওয়ারঃ ইতিহাসের সব চেয়ে অদ্ভূতুরে যুদ্ধ ইমু যুদ্ধ এর ইতিবৃত্ব

  • Update Time : রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০

ইতিহাস ডেক্সঃ- সৃজনশীল ব্লগ কালাক্ষর এ আজ আমরা ইতিহাসের বাঁকে ঘটে যাওয়া এমন এক অদ্ভুতুরে যুদ্ধের পোস্ট মর্টেম করবো যা পরে আপনি হাসতে পারেন আবার ব্যাথিত ও হতে পারেন –  ইমু এক প্রকারের পাখি- আকারে অনেক বড় – কিছুটা উট পাখির মত বলেই এদের  উট পাখি দের জ্ঞ্যাতি ভাই বলা হয়- এদের নিবাস অস্ট্রেলিয়ায়। এই ইমু নামক পাখিদের সাথেই অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহীনীর অভদুতুরে এক যুদ্ধ হয়েছিল – যেন তেন যুদ্ধ নয়- রিতিমত ঘোষনা দিয়ে দিন ক্ষন ঠিক করে- যে যুদ্ধ পৃথিবীর অদ্ভুত যুদ্ধগুলোর তালিকায় প্রথম সারিতে অবস্থান করছে । আজ আমরা অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনী বনাম ইমু পাখিদের মধ্যে সংগঠিত ‘ইমু যুদ্ধ’ বা দ্যা গ্রেট ইমু ওয়ার এর পোস্ট মর্টেম করবো- দ্যা গ্রেট ইমু ওয়ারছিলএমনই এক যুদ্ধ- যে যুদ্ধের পরিণতি আপনাকে নিঃসন্দেহে ভাবাবে ও হাসাবে।

ইমু যুদ্ধ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৩২ সালে, যখনঅস্ট্রেলিয়ান সরকার একটি বন্যজন্তু সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী হাতে নেয়। আর এর শুরুটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পিয়ন জেলায় মানুষের  এলাকায় ইমু পাখিদের বিচরণ বেড়ে যাওয়ার পর।

ইমুদের কথা:

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বাস করা ইমুদের অনেকেই উটপাখির সাথে গুলিয়ে ফেলেন অনেক সময়, এবং তাতে অল্পবিস্তর সত্যতা রয়েছে। ইমু উটপাখিদেরই দূরসম্পর্কের আত্মীয়, এর বৈজ্ঞানিক নাম Dromaius novaehollandiaeএরা সাধারণত চল্লিশ কেজির কাছাকাছি ওজনের হয়ে থাকে, এবং উচ্চতায় এরাপৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। এরা উড়তে পারে না, তবে দৌড়াতে পারে খুব ভালো। হঠাৎ করে কাছে ছুটে আসতে দেখলে ভয় লাগারই কথা। 

  1.   উইগুর দের ইতিহাস নিয়ে লেখা প্রবন্ধ টি পরতে হলে – লিংকটাতে (ক্লিক) করুন 
  2.  নরবলি- মানব সভ্যতার এর লজ্জাজনক ইতিহাস – পড়তে হলে লিংকটিতে (ক্লিক) করুন 

অস্ট্রেলিয়ার সর্ববৃহৎ পাখি ইমু দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়াতেই (আমাদের দেশের চিড়িয়াখানায় খাঁচার আড়ালে দেখে যদি মন না ভরে আর কী)। অস্ট্রেলিয়ায় এদের পাওয়া যায় প্রায় সবখানেই, তবে আমাদের আজকের গল্প পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ইমুদের নিয়ে।  মে ও জুন মাস ইমু এর প্রজননের মূল সময়। এই সময় ইমুরা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার শুকনো জায়গা থেকে আরও পশ্চিমে মাইগ্রেট করে, কারণ শীতে খাবার ও পানি কমে যায় যার ফলে ইমুরা মাইগ্রেট করতে বাধ্য হয়। ঐতিহাসিক মারে জনসনের মতে, এরকম এক অস্বাভাবিক পরিযানের ফলেই অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের সাথে ইমুদের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। 

শুরুর ঘটনাবলী:

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর হাজার হাজার সৈনিক অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত আসে,এই সব সৈনিকদের যুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোনো দক্ষতা ছিল না; সঠিক কর্ম সংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে এই বিপুল জন সম্পদ কে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে মহা সমস্যায় পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এর জন্য পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়, ‘সৈনিক পুনর্বাসন প্রকল্প’, যার ফলে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক সৈন্য, যাদের অনেকেই ছিল ব্রিটিশ, তারা সেখানে কৃষিকাজ শুরু করে। তবে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার আবাদি জমির পরিমাণ অনেক কম হওয়ায় জমির বণ্টন হয়েছিল অনেকটাই অসম। এর বিকল্প হিসেবে পশ্চিমের চাষীরা উল এবং আটার চাষ শুরু করে, অনেকেই প্রচণ্ড লাভবান হন। তবে বেশিরভাগ সৈনিকেরই অবস্থা হয় শোচনীয়। জাস্টিস পাইকের মতে, ১,৪৮৫ জন সৈনিক নিজের বেশিরভাগ স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ১৯২৯ সালের মধ্যেই। অনেকে আত্মহত্যাও করছিলেন। এর পরে গ্রেট ডিপ্রেশন এসে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলো।

এর ভিতর মধ্যে আটার দাম পড়ে যাচ্ছিল আশঙ্কাজনকভাবে, যা নতুন নির্বাচিত লিওনের সরকার ঠিক করতে অক্ষম ছিল। তাই চাষীরা সমবেত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার বিরোধিতার। তারা ঠিক করে তারা তাদের শস্য বেচবে না। তখন ছিল ১৯৩২ সালের অক্টোবর মাস। এই টালমাটাল সময়েই পশ্চিমের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে এক অকস্মাৎ ঝড় আসে।

সাধারণত বাঁশ ও তারকাঁটার বেড়া দিয়ে হয়ত ইমুদের হাত থেকে ফসলি জমি রক্ষা করা যেত। কিন্তু  ওই সময় চলছিল মহা মন্দার টাইম। আর সে জন্য এ সময় চাষীরা বেড়ার বন্দোবস্তও করতে পারছিল না, ফলে অস্ট্রেলিয়ার পুরো পশ্চিমের প্রান্তিক এলাকাগুলো হয়ে উঠছিল প্রায় বিশ হাজার ইমুর বিশাল বাহিনীর জন্য একটি উন্মুক্ত খেলার মাঠ। এরা এক সাথে এসে কিছুক্ষনের ভিতরে সমস্ত ফসলি জমি নষ্ট করে ফেলতো- 

ইমু যুদ্ধ

ইমু শিকারী- সোর্স – wikipidia.com

অস্ট্রেলিয়ার ১৮৭৪ এর ‘শিকার আইন’ এর আওতায় ইমুরা রক্ষিত ছিল, কিন্তু ১৯২২ থেকে আবাদি জমিতে তাদের উৎপাত ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাওয়ার দরুন অস্টেলিয়ান সরকার তাদের ‘ভারমিন’ বা শস্য ক্ষতিকারক প্রাণীরুপে চিহ্নিত করে, এবং এই আইনে শস্য রক্ষায় তাদের শিকার জায়েজ হয়ে যায়। এই আইন করা হয়েছিল পুনর্বাসিত সৈনিকদের অনুরোধেই। তাদের শস্য ইমুদের জ্বালায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর। মারাও হয়েছিল অনেক ইমু। ১৯২৮ সালে শুধু জেরাল্ডটনের উত্তরেই প্রায় তিন থেকে চার হাজার ইমু মারা হয়েছিল। তবে ইমুদের সংখ্যা এতই বেশি ছিল যে এত হত্যার পরেও তাদের সংখ্যায় কোনো বিশেষ এদিক-সেদিক হয়নি।

কিন্তু এবার সংখ্যা ২০,০০০! সৈন্যদের মাথায় হাত। ঘরে রাখা গাদা বন্দুক দিয়ে তো এদের টিকিটাও উড়ানো যাবে না, বরং এদের রাগালে উল্টো রেগেমেগে ঘরবাড়ি তছনছ করে রেখে যেতে পারে ইমুদের ২০০০০ সংখ্যার এই এই বিশাল বাহিনী। এদের দমাতে হলে অস্ট্রেলিয়ানদের দরকার কামান, নয়ত ভালো বন্দুক। তারা এক হয়ে একটি প্রতিনিধি দল পাঠালো পার্থ শহরে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ পিয়ার্সের কাছে। তারা তখনকার নতুন প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বন্দুক, যাকে আমরা মেশিন গান বলে চিনি, তা দাবি করে বসলো। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ পিয়ার্স পরলেন পরলেন এক ভারি মুশকিলে! যুদ্ধ ফেরত এই সৈনিক দলের অনেকেই তিনি প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় থেকে চিনতেন, এদের দুঃখে সমব্যথী তিনি ছিলেন কিন্তু এই মন্দার সময় তাদের এমন ভয়ানক অনুরোধ কি রাখা যায়? আবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এই কথা বললে প্রশাসন তেতে উঠবে। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিয়ার্স দুই কূলই ঠিক রাখলেন। মিলিটারি বোর্ডকে না জানিয়ে বন্দুক দিলেন সৈন্যদের, একইসাথে সেখানকার পুলিশ ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাহায্যও মঞ্জুর করে দিলেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে এর মধ্যে একেবারেই জড়ালেন না। তাদের সাথে আসলেন মেজর জি পি ডব্লিউ মেরেডিথ, সার্জেন্ট ম্যাকমারে ও গানার ও’হ্যালোরন এবং তাদের সাথে দুটো ‘লুইস মেশিন গান’ ও দশ হাজার বুলেট।

লুইস মেশিনগান:

পার্থের পঞ্চম সেনা কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার মার্টিন ভেবেছিলেন, ইমুবাহিনী মারতে বেশি মেশিনগান দিলে হয়তো মাছি মারতে কামান দাগা হয়ে যেতে পারে। তাই তিনি মাত্র দুটো মেশিনগান নিতে দেন।তবে তিনি হয়তো জানতেন না, ১৭৮৮ সালে মেরিন ক্যাপ্টেন ওয়াটকিন টেঞ্চ লিখেছিলেন, সিডনির ইমুরা খুবই দ্রুতগতির এবং বন্য, যার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বন্দুকের ব্যবহার খুব বেশি কার্যকর হয় না। মার্টিন হয়তো ভেবেছিলেন, এই সুযোগে তার সেনাদের ভালো শ্যুটিং প্র্যাকটিস হয়ে যাবে।

লুইস বন্দুকগুলো বানানো হতো যুক্তরাজ্যে, তবে আইডিয়াটা ছিল আমেরিকান। প্রচুর ব্যবহার হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ ও ব্রিটিশপন্থী দেশের সৈনিকদের হাতে। এর মূল ডিজাইনার আইজ্যাক নিউটন লুইস। তিনি এটি আবিষ্কার করেন ১৯১১ সালে। প্রতি মিনিটে প্রায় ৫০০-৬০০ রাউন্ড গুলি করা যেতো এই বন্দুক থেকে। এর ব্যবহার কোরিয়ান যুদ্ধের প্রায় শেষ পর্যন্ত বহাল ছিল।

যুদ্ধের প্রথম ভাগ:

১৯৩২ এর ২ নভেম্বরে শুরু হয় যুদ্ধ। এই সময় ক্যাম্পিয়ন সাগর ও তার আসে পাশে থেকে সৈন্যরা অস্ট্রেলিয়া ফেরত আসে। এই দলের নজরে পড়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক ইমু। কিন্তু ইমুরা বন্দুকের রেঞ্জ থেকে অনেক দূরে থাকায় তাদের মারার প্রায় সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়, গুলির শব্দ শুনে ইমুরা চার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় । প্রথম দিনে সৈন্যরা  অনেক গুলি অযথা খরচ করে, শেষ মেষ একগাদা হতাশা নিয়ে তাদের ফেরত চলে যায়।

দ্বিতীয় দিনে সৈন্যরা গোপনে হামলার পরিকল্পনা করে একটি গুদামের পিছনে লুকিয়ে থাকে এবং প্লান মত ফায়ার করে যাদিও তাতে সৈনিকদের খুব একটা লাভ হয়নি। ইমুদের গতির কারণে তাদের ফারায় রেঞ্জে ঠিক ঠাক আনা যাচ্ছিল না- তার উপর মাঝ পথে অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটে সৈনিকদের বন্দুক জ্যাম হয়ে যাবার ফলে ১,০০০ ইমুর ভিতর খুব অল্পই মারা যায়। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনেও সৈনিকরা কয়েকশ রাউন্ড গুলি খরচ করে শুধু ডজনখানেক ইমু হত্যা করতে পারে। 

ইমু যুদ্ধ

ইমু যুদ্ধের ছবি – ফাইল ফটো

 

পরের কয়েকদিনও এভাবেই যায়। মেরেডিথ খেয়াল করতে শুরু করেন, ইমুদের মধ্যেও রয়েছে আশ্চর্য শৃঙ্খলা ও প্রকৃতিপ্রদত্ত সামরিক প্রবৃত্তি। তারা পায়ের আওয়াজ পেলেই শত শত ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। প্রত্যেক দলে একটি করে নেতা থাকে, যারা লক্ষ্য রাখে শত্রুর আগমনের, ততক্ষণে ইমুরা তাদের ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে।

৮ নভেম্বরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস, যারা এতদিন চাষীদের পক্ষেই ছিল,এই অভিযান নিয়ে আলোচনা শুরু করে। মিডিয়া এতদিনে এই অভিযান নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য করা শুরু করে দিয়েছিল, যার নেপথ্যে ছিলেন সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সাংবাদিক জর্জ ম্যাকইভার, যিনি শুরু থেকেই রক্ষণশীল সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করছিলেন। তার প্রচারণায় এই ইমু যুদ্ধে বিফলতার সকল দোষ পড়ছিল সরকারের ঘাড়ে। ফলে পিয়ার্স ৮ নভেম্বর সৈন্য ও বন্দুক সরিয়ে নেন ক্যাম্পিয়ন থেকে।

যুদ্ধের দ্বিতীয় ভাগ:

এরপরে যা হওয়ার তা-ই হলো, ইমুদের উৎপাত দ্বিগুণ হলো, চাষীরাও পুনরায় হাত পাতলেন সাহায্যের জন্য। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার (রাজ্যপ্রধান) জেমস মিচেল তার সমর্থন জানালেন তাদের পক্ষে।

এভাবে ১২ নভেম্বর সরকারের প্রতিরক্ষা বিভাগ আবারো মঞ্জুর করলো ওই অঞ্চলে সেনা ও অস্ত্র সাহায্য। ১৩ নভেম্বর থেকে প্রথম দুদিনের অভিযান এবার বেশ ভালোই হলো, প্রায় ৪০টির মতো ইমু হত্যা করা হলো।এর পরে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ ইমু মারা হচ্ছিলো। ১০ ডিসেম্বর মেরেডিথ তার রিপোর্ট জমা দেন, তাতে গুলি ও হত্যার হিসেব দেয়া হয়। ৯,৮৬০ রাউন্ডে ৯৮৬টি ইমুর মৃত্যু, অর্থাৎ প্রতিটি ইমুর জন্য গড়ে ১০টি করে বুলেট খরচ হয়েছিলো।

কিন্তু এত করেও থামানো গেল না ইমুদের। প্রত্যেকবার ইমুরা যেন আরও বেশি চালাক ও কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো। শেষ পর্যন্ত ফসলগুলো কোনোমতে বাঁচাতে পারলেও বছরের পর বছর ধরে ইমুদের অত্যাচার মেনেই নিতে হয় চাষীদের। সেনাবাহিনী দিয়েও প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা যায়নি। তবে এর পরে ইমুর জন্য বিশেষভাবে তৈরি বেড়ার ব্যবহার অনেক বেড়ে যাওয়ায় চাষীরা সম্ভাব্য ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু জিতে গিয়েছিল ইমুরাই এই যুদ্ধে।

পরে মেরেডিথ এক পত্রিকায় বলেছিলেন,

“আমাদের যদি এই ইমুবাহিনীর একটি আলাদা দল থাকতো এবং বন্দুকধারী ইমু সওয়ার দিয়ে যদি আমরা ওই বাহিনী সজ্জিত করতে পারতাম, তাহলে আমরা পৃথিবীর যেকোনো বাহিনীর সম্মুখে দাঁড়াতে পারতাম। মেশিনগানের বিপক্ষে এই বাহিনী হতো ট্যাঙ্কের মতো।”

Source:

·         Emu War – Wikipedia

How we lost the “Emu War” Plants & Animals: Emu“Attack on Emus”

·         . The Argus. 12 November 1932

Solaiman Jewel

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
©2021 All rights reserved © kalakkhor.com
Customized By BlogTheme
error: Content is protected !!

Discover more from কালাক্ষর

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading