শাহাবজাদে ইরফান আলী খান! যাকে আমরা সবাই ইরফান খান নামেই চিনি। গোটা বলিউড বক্স অফিস যখন তিন খান এ মাতোয়ারা, তখন বলিউডে নিজের অনন্য সাধারণ অভিনয় দিয়ে ইরফান খান নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই অভনয়ের যাদুকর। শুধু বলিউড নয় হলিউড এবং ব্রিটিশ ফিল্মেও কাজ করে নিজের নাম প্রতিষ্টা করেছিলেন। সৃজনশীল ব্লগ “কালাক্ষর” এ আজ আমরা এই শক্তিমান অভিনেতার অভিনেতা হয়ে ওঠা, জীবনের উত্থান-পতনের ঘটনা গুলো আনার চেষ্টা করব।
ইরফান খানের জন্ম ১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুর জেলার এক মুসলিম পাঠান পরিবারে, জন্মের সময় তাঁর নাম রাখস হয় শাহাবজাদে ইরফান আলী খান। ইরফান খানের বাবার ছিল গাড়ির চাকার ব্যবসা।
ছোট বেলায় ইরফান খান প্রথমে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু ক্রিকেটে ব্যার্থ হয়ে ছোটখাট ব্যবসার চেষ্টা করলেও যখন ব্যর্থ হন তখন সব বাদ দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগ দেন এবং এম.এ কোর্সে পড়ার সময়ে ইরফান দিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পেয়ে যান। ইরফান খান এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া না করে তিনি তিনি সেখানে ভর্তি হয়ে ড্রামাটিক আর্টসে ডিপ্লোমা করেন।
দ্য লাঞ্চ বক্স সিনেমার পোস্টার; Image Source: indianexpress.com
দিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে পাস করার পর ইরফান খান মুম্বাইয়ে চলে এসে টেলিভিশন সিরিয়াল দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন, অভিনয় শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে অন্য সবার মত তাকেও অনেক কাঠ খর পোহাতে হয়েছে। ইরফান খান তাঁর এই স্টাগলিং প্রিয়োডের প্রথমদিকে টিউশনি করিয়ে এবং মানুষের বাসায় এসি ঠিক করে জীবিকা নির্বাহ করতে হত। মুম্বাইয়ে আসার পর ইরফান খান একে একে অভিনয় করেন ভারাত এক খোঁজ, বানেগী আপনে বাত, চাণৌক্য,সারা জাহা হামারা, চন্দ্রকান্ত, শ্রীকান্ত,আনুগুঞ্জ, স্টার বেস্টসেলারস, ও স্পার্স নামক টিভি সিরিয়ালে। যার অনেকগুলোই ছিল দূরদর্শন এবং স্টার প্লাসের মত ভারতের প্রথম সারীর বড় বড় টিভির সিরিয়াল। স্টারপ্লাসের ‘ডার’ নামক এক সিরিজে ইরফান খান প্রধান ভিলেন একজন সাইকো সিরিয়াল কিলারের ক্যারেক্টারে অভিনয় করেন। এভাবে তিনি থিয়েটার আর টিভি সিরিয়ালের মাঝেই ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। এর পর ১৯৮৮ সালে এসে তার ক্যারিয়ার নতুন দিকে মোড় নেয়। ডিরেক্টর মিরা নায়ের ইরফান খান কে তার সিনেমা সালাম বোম্বেতে একটি বিশেষ অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল তার চরিত্রটি শেষ পর্যন্ত ফিল্মের এডিটিংয়ের সময় বাদ দেওয়া হয়। মুক্তির পর সালাম বোম্বে সিনেমাটি ইন্ডিয়ার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবার পর ইন্ডিয়া থেকে অস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। তবে সিনেমার এডিটিংয়ে তার চরিত্র বাদ পড়লেও ইরফান খান হতাশ হয়ে থেমে যান নি।
ইরফান খান ১৯৯০-২০০০ এর মাঝে এমন কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন যা সমালোচকদের মনে ধরেছিল। এর ভিতর সাচ আ লং জার্নি ও ডক্টর কি মউত তাঁর করা অন্যতম দুটি সিনেমা ছিল। এছাড়াও আরো কিছু সিনেমায় তিনি এ সময় অভিনয় করেন যা বক্স অফিসে একদমই মুখ থুবরে পড়ে কিন্তু এই ফ্লপ সিনেমা গুলতে তাঁর অভিনয় শৈলী মানুষের নজর কাড়ে।
চলচিত্রের ধ্রুব তারাদের নিয়ে আমার লেখা গুলো পড়ে আসতে পারেন
ইরফান খান ভিন্নধর্মী সিনেমায় অভিনয় করে তাঁর অভিনয়ের ভ্যারিয়েশান আনার চেষ্টা করতে থাকলেও বক্স অফিসে এক ফ্লপ সিনেমা সংযুক্ত হতে থাকে। কিন্তু হঠাৎই দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যায়। কান ফিল্ম ফেস্টিভালে পুরস্কার পাওয়া ব্রিটিশ ফিল্ম ডিরেক্টর আসিফ কাপাডিয়া তাকে তার “দ্য ওয়ারিয়র” সিনেমাতে ইরফান খান কে প্রধান চরিত্রের জন্য মনোনীত করেন। আসিফ কাপাডিয়া বাফটা অ্যাওয়ার্ড, অস্কার বা একাডেমী অ্যাওয়ার্ড, এমনকি গ্র্যামী অ্যাওয়ার্ডও জয় করেন। আসিফ কাপাডিয়া নির্মিত “অ্যামি” সিনেমাটি যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ডকুমেন্টারি ফিল্ম।
আসিফ কাপাডিয়ার “দ্য ওয়ারিয়র” ছিল ইতিহাস ভিত্তিক সিনেমা। সিনেমাটি বানাতে ভারতের হিমাচল প্রদেশ ও রাজস্থানে সিনেমাটির পুরো শ্যুটিং হয় আর শুটিং করতে ১১ সপ্তাহ সময় লেগেছিল। ২০০১ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে দ্য ওয়ারিয়র মুক্তি পায়। বাফটা অ্যাওয়ার্ডে সেরা ব্রিটিশ ফিল্মের পুরস্কার জিতে নেওয়ার পর দ্য ওয়ারিয়র অস্কারের জন্য যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো সিনেমার সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও এই সিনেমাটি ঠাই পেয়েছিল। এরপরই থেকে মূলত ইরফান খান রাতারাতি সবার কাছে পরিচিত মুখ হয়ে যান।
দ্য ওয়ারিয়র সিনেমার একটি দৃশ্যে ইরফান খান; Image Source: cinemas-online.co.uk
ইরফান খান ২০০৪ রোড টু লাদাখ নামে একটি শর্টফিল্মে অভিনয় করেন তিনি। এই শর্টফিল্মটি আন্তর্জাতিক ভাবে বেশ প্রশংসিত হবার ফলে এই শর্টফিল্ম থেকেই পরিচালক একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করেন, যাতে ইরফান খান প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছরে তিনি মকবুল নামে আরেকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। এটি ছিল শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথের অ্যাডাপ্টেশান। এতে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এই সিনেমাটিও সমালোচকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। ২০০৪ সালে হাসিল নামের ইরফানের আরেকটি সিনেমায় ইরফান খান ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমাটিতে ইরফান খানের অভিনয় সমালোচকদের বিস্ময়ে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। হাসিল সিনেমার জন্য ইরফান ফিল্মফেয়ার সেরা ভিলেনের পুরস্কার জিতে নেন। সমালোচকদের পছন্দের সিনেমা বা আর্ট ফিল্মের বাইরে সত্যিকার অর্থেই বলিউডের কোন মুভিতে প্রধান চরিত্রে ইরফান প্রথম অভিনয় করেন ২০০৫ সালে। সিনেমাটির নাম ছিল “রগ”। এই সিনেমায়ও ইরফানের অভিনয় সমালোচকদের মন জয় করে নেয়। এক সমালোচকের মতে, “সিনেমাটিতে ইরফানের চোখ তার শব্দের চেয়েও বেশি কথা বলেছে।”
ইরফান খান ২০০৭ সালে অনুরাগ বসুর লাইফ ইন আ মেট্রো সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন। সিনেমাটি ইন্ডিয়ার বক্স অফিসে ঝড় তোলে এবং হিট হয়। এই সিনেমার জন্য ইরফান খান ফিল্মফেয়ার, আইফা এবং স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন।
২০০৮ সালে নির্মিত অস্কার বিজয়ী সিনেমা স্লামডগ মিলিয়নিয়ার এ ইরফান খান একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় পারফর্ম করেন। সিনেমাটি বেস্ট পিকচার, বেস্ট ডিরেক্টরসহ ৮টি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতে নেয়। এছাড়া ৭টি বাফটা অ্যাওয়ার্ড ও ৪টি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডও আছে এই সিনেমার ঝুড়িতে। এই সিনেমার জন্য তিনি এবং সিনেমার অভিনেতারা স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং পারফর্মেন্স বাই আ কাস্ট ইন আ মোশান পিকচার অ্যাওয়ার্ড জয় করেন। স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের অস্কারজয়ী পরিচালক ড্যানি বয়েল ইরফান খান সম্বন্ধে বলেছেন, “ইরফান একই অভিনয় বারবার একইরকম নিখুঁতভাবে করতে পারেন। এটা দেখতে পারা সত্যিই অসাধারণ।”
ইরফান খান ২০০৯ সালে অ্যাসিড ফ্যাক্টরি নামে একটি অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটি করার পর ইরফান খান বলেছিলেন ভবিষ্যতে তিনি আরো অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় অভিনয় করতে চান।
এ বছরই ইরফান খান নিউইয়র্ক এবং আই লাভ ইউ নামের দুটি সিনেমায় অভিনয় করেন ইরফান। নিউইয়র্ক সিনেমায় ইরফান খান এফবিআই এর একজন এজেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। সিনেমাটি বক্স অফিসে হিট হয়। ২৩ কোটি রুপির বাজেটের বিনিময়ে সিনেমাটি বক্স অফিসে ৬৫ কোটি রুপির ব্যবসা করে। কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল এবং পুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিম ফেস্টিভালেও সিনেমাটির স্ক্রিনিং হয়।
২০১১ সালে ইরফান খানকে ভারত সরকার তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে। পদ্মশ্রী ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
২০১২ সালে হলিউড মুভি দ্য অ্যামাজিং স্পাইডারম্যান সিনেমায় ইরফান খান ড. রাজিত রাথা চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি হলিউডের সিনেমা লাইফ অব পাইয়ের পাই চরিত্রটির চরিত্রেও অভিনয় করেন। লাইফ অব পাই সিনেমাটি অস্কারে ১১টি ক্যাটাগরীতে মনোনয়ন লাভ করে এবং ছবিটি চারটি ক্যাটাগরীতে অস্কার পুরস্কারও জিতেছিল।
২০১২ সালে ইরফান খান বলিউডে পান সিং তোমের সিনেমায় অভিনয় করেন। পান সিং তোমের সিনেমাটি সমালোচকদের কাছ থেকে অসাধারণ প্রশংসা পেয়েছিল। পান সিং তোমের সিনেমাটিতে ভারতের ন্যাশনাল গেমে স্বর্ণপদক পাওয়া একজন সৈনিকের খেলোয়াড় থেকে ডাকাতে পরিণত হওয়ার সত্য কাহিনীর উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছিল। সাড়ে চার কোটি রুপিতে নির্মিত এই সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রায় ৩৯ কোটি রুপির ব্যবসা করে। এই সিনেমার জন্য ইরফান খান ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতেন যা বলিউড কাঁপানো তিন খানের কেউই কখনও জেতেননি। এ থেকে আমরা তার অভিনয়ের গভীরতা সম্বন্ধে ধারণা করতে পারি। ফিল্মফেয়ারে তিনি সমালোচকদের মতে সেরা অভিনেতার পুরস্কারটিও জিতে নেন।
ইরফান খান ২০১৩ সালে তিনি দ্য লাঞ্চ বক্সের জন্য এশিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালে তিনি গুন্ডে সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে সফল হয়। সেই বছরই তিনি দ্য এক্সপোজ ও হাইদার সিনেমায় শক্তিশালী অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
২০১৫ সালে অমিতাভ বচ্চন ও দীপিকা পাড়ুকোনের সাথে ইরফান খান পিকু সিনেমায় প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। ৩৮ কোটি রুপির বাজেটে নির্মিত পিকু সিনেমাটি বক্স অফিসে ১৪১ কোটি রুপির ব্যবসা করে। এভাবেই ইরফান খান শুধু তার অভিনয় দিয়ে সমালোচকদের মন জয় করেননি, বক্স অফিসেও ছোট ছোট সিনেমা দিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
পিকু সিনেমার পোস্টার; Image Source: indianexpress.com
২০১৫ সালে ইরফান খান জুরাসিক ওয়ার্ল্ড নামের হলিউডের সিনেমাটিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য পায়। সেই বছরই ঐশ্বরিয়া রায়ের সাথে জাজবা নামের একটি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন যা সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়াতে সমর্থ হয়। এছাড়াও ২০১৬ সালে ড্যান ব্রাউনের ইনফার্নো বইয়ের কাহিনী অনুকরণে বানানো সিনেমা ইনফার্নোতেও ইরফান খান অভিনয় করেছেন।
বলিউডে চরম সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও ইরফান খান তার টেলিভিশন ক্যারিয়ারের ইতি টানেননি। তিনি ২০০৭ সালে স্টার ওয়ানের মানো ইয়া না মানো এবং প্রায় একইরকম আরেকটি টিভি শো কেয়া কাহুর উপস্থাপক ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি এইচবিও’র ইন ট্রিটমেন্ট নামক সিরিজের ৩য় সিজনে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে সিনেমার প্রযোজকের ভূমিকাও পালন করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫, ইরফান খান লেখিকা এবং ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার স্নাতক সুতপা শিকদারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সুতপা শিকদার ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় তার সহপাঠী ছিল। বাবলি এবং অয়ন নামে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। স্ত্রী তার সম্বন্ধে বলেছিলেন, “সে সবসময় অত্যন্ত মনোযোগী। ইরফান যখন বাসায় আসে, তখন সোজা শোবার ঘরে চলে যায় এবং শোবার ঘরের মেঝেতে বসে বই পড়তে শুরু করে। পরিবারের বাকি সবাই গল্পগু জব আর মজা করতে ব্যস্ত থাকলেও ইরফান সেদিকে মনোযোগ দেয় না।”
ইরফান খান একজন শক্তিমান অভিনেতার নাম। সমালোচক, অভিজ্ঞ এবং অন্যান্য শিল্পীদের মতে, তিনি শুধু ভারতীয় সিনেমার নয়, গোটা বিশ্বের একজন অন্যতম সেরা, অনন্য সাধারণ এবং মেধাবী অভিনেতা। ১৯৮৮ সাল থেকে বহু পরিশ্রম আর উত্থান-পতনের পর নিজেকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তিনি। ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইরফান।
ইরফান খান ২০১৮ সালে বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। টানা দুই বছর ক্যান্সারে সাথে লড়াই করার পর ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল মারা যান। কিন্তু জাগতিক ভাবে ব্যাক্তি ইরফান খানের মৃত্যু হলেও ইরফান খান তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ভক্তদের প্রেমের জটিল মানসে ঠিকই বেঁচে থাকবেন বলে আমার বিশ্বাস। ভক্তদের ভালোবাসা নিশ্চয়ই থাকবে তার সাথে। এই শক্তিমান শিল্পীর অভিনয় আমাদের মোহাবিষ্ট করে রাখুক অনন্তকাল।ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন।
Leave a Reply